তেল আর গ্যাস ব্যবহার নিয়ে বিভক্ত ইউরোপ

তেল আর গ্যাস ব্যবহার নিয়ে বিভক্ত ইউরোপ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ নভেম্বর, ২০২১

নতুন এক সংগঠন তৈরি হয়েছে। তার নাম বোগা। পুরো নাম বিয়ন্ড অয়েল অ্যান্ড গ্যাস অ্যালায়েন্স। সংগঠনের কাজ কি? পৃথিবী জুড়ে তেল আর গ্যাস নিষ্কাশন বন্ধের দাবি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাওয়া। যাতে বাতাসে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো যায়। সংগঠন তৈরি করেছে কারা? মূল উদ্যোগ ডেনমার্ক আর কোস্টা রিকা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ফ্রান্স, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, সুইডেন, আয়ার্ল্যান্ড, ওয়েলস এবং কানাডার কিউবেক নামের একটি প্রদেশ। এর মধ্যে ওয়েলসের গ্যাস আর তেলের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেটা রয়েছে ইংল্যান্ডের। পর্তুগাল, ক্যালিফোর্ণিয়া আর নিউজিল্যান্ড এই সংগঠনের অ্যাসোসিয়েট সদস্য। গ্লাসগোয় ক্লাইমেট চেঞ্জিং সামিট চলাকালীন বোগার তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, তেল আর গ্যাস উৎপাদন নিয়ে একটা গ্লোবাল ট্রিটি তৈরি করা হোক, যেরকম পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার বৃদ্ধির জন্য গ্লোবাল ট্রিটি হয়। কয়লার ব্যবহার বন্ধ বা আপাতত কমানোর জন্য সেরকম একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি ইতিমধ্যে করা হয়েছে।
কিন্তু গ্যাস আর তেলের মত গুরুত্বপূর্ণ বাকি দু’টো জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে অদ্ভূতভাবে নিরব ইউরোপের সেই দেশগুলো যারা তেল আর গ্যাসের বৃহত্তর উৎপাদক! যেরকম ইতালি! তার তরফে বোগার বন্ধু হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে! কিন্তু গ্যাস আর তেলের উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার যে আন্তর্জাতিক চুক্তির খসড়া করতে চাইছে বোগা, সেখানে সই করেনি ইতালি! ইংল্যান্ডেরও একই অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গ্লাসগোয় উপস্থিত বোগার প্রচারকদের উদ্দেশে বলেছেন, “দেখছি ব্যাপারটা!” কিন্তু এখনও ইংল্যান্ড এই খসড়ায় সই করেনি। যে কারণে কবে থেকে বিভিন্ন দেশের গ্যাস আর তেল উৎপাদনের নতুন প্রোজেক্টগুলো বন্ধ হবে বোঝা যায়নি। একমাত্র ফ্রান্স জানিয়ে দিয়েছে, ২০৪০-এর মধ্যে আইন করে তারা দেশের সমস্ত নতুন তেল আর গ্যাসের প্রোজেক্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বোগা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চিনেরও বিশেষ মাথাব্যাথা আছে বলে জানা যায়নি। ভারতও নিশ্চয়ই এই তালিকায় রয়েছে!