তৈরি হচ্ছে অষ্টম মহাদেশ!

তৈরি হচ্ছে অষ্টম মহাদেশ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

পরিবেশ বাঁচাতে কত কিছুই না করার চেষ্টা করছে মানুষ। এবার মানুষের হাতে তৈরি হচ্ছে এক কৃত্রিম মহাদেশ! যাকে গবেষকরা বলছেন অষ্টম মহাদেশ! ভিয়েনার ওসান পলিউশন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কয়েক বছর আগে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর সাত মহাদেশে যেভাবে প্লাস্টিকের দূষণ ছেয়ে যাচ্ছে তার থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়বে। সেই কারণে প্লাস্টিকের দূষণ কমাতে এমন কৃত্রিম গবেষণাগার তৈরি করা যা প্লাস্টিকের দূষণ কমাতে পারবে। আর সেই গবেষণাগার যদি ভাসমান হয় তাহলে সমুদ্রে মানুষের ফেলা লক্ষ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সে তুলতে পারবে। সেই ভাবনা নিয়েই লন্ডনের এক নামী আর্কিটেক্ট লেঙ্কা পেত্রাকোভা শুরু করেছিলেন ভাসমান গবেষণাগার তৈরির কাজ, যাকে অষ্টম মহাদেশ বলছেন বিজ্ঞানীরা! সম্প্রতি তার সমুদ্রে এই স্থাপত্যের উদ্ভাবনী ক্ষমতা গ্রঁ প্রিঁ পুরষ্কারও জিতে নিয়েছে। অষ্টম মহাদেশ আসলে একটি ভাসমান বিশাল গবেষণাগার। আটলান্টিকের ওপর থাকা কোনও একটি দ্বীপের আয়তনের মতই। লেঙ্কা এর নাম দিয়েছেন ‘গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচ’। জানিয়েছেন সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই মহাদেশ সমুদ্রে ভেসে বেড়াবে। এর চলতে কোনও পারমাণবিক শক্তি বা জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। সমুদ্রের জল এবং বায়ু থেকেই এই মহাদেশ তার প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। এবং সেই শক্তিতেই এই গবেষণাগার সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করবে।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে প্রতি বছর সমুদ্রের তলায় জমা হয় প্রায় ৮০ লক্ষ টন প্লাস্টিক। তাতে প্রাণ যায় অন্তত এক লক্ষ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও কচ্ছপের। মারা যায় অন্তত ১০ লক্ষেরও বেশি পাখি!
এখন মহাদেশের সহায়তায় সমুদ্র, কচ্ছপ আর পাখি বাঁচে কি না ভবিষ্যতে সেটা দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 13 =