দুমুখো প্লুটো? ছবি তুলল নিউ হরাইজেন

দুমুখো প্লুটো? ছবি তুলল নিউ হরাইজেন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বামন গ্রহকে নিয়ে কৌতূহল আর ধোঁয়াশার শেষ নেই। ১৪ই জুলাই, প্লুটোর কাছাকাছিই ঘুরছিল নাসার নিউ হরাইজেন নামের মহাকাশযান। তখনই দুর্দান্ত কিছু রঙিন ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে।

সৌরজগতের কনিষ্ঠকে নিয়ে দ্বন্দ্বের অন্ত নেই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করার পর। মহাকাশযানের মুখ্য তদারক অ্যালান স্টার্নের তেমনই অভিমত। একদিকে রয়েছে প্লুটোর নিরক্ষরেখা বরাবর এক সার দিয়ে কিছু অদ্ভুতুড়ে কালো দাগ। আরেক দিকে, তার উপগ্রহ চ্যারন। চ্যারনের গায়ের রঙ নাকি প্লুটোর চাইতে অনেকটাই বেশি ধূসর আর কালো।

কিন্তু প্লুটোর পেটে দাগগুলো? সরেজমিনে তদন্তের পর জানা গেল একেকটা দাগ নাকি ৪৮০ কিলোমিটার ব্যাসের। মোটামুটি অ্যামেরিকার মিসৌরি প্রদেশের আয়তনের, এমনটাই জানিয়েছে ঐ দেশের মহাকাশ সংস্থা।

অ্যালান স্টার্ন ঐ দাগগুলোকেই ধাঁধা বলছেন। তাদের বুৎপত্তি বৃত্তান্ত কিছুই জানা নেই। ওদিকে আরেকটা গেরো প্লুটোর চ্যালা চ্যারনের রঙের রঙ্গ। এই ধোঁয়াশা যদিও অনেক আগে থেকেই ছিল বিজ্ঞানীদের।

বামন গ্রহটার আকাশে যদি মেঘ থেকে থাকে, নিউ হরাইজেন সেটাও ধরে ফেলবে। তাতে করে গ্রহের আবহাওয়ার খুঁটিনাটি বুঝতে সুবিধে। সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কেলসি সিঙ্গারের ধারণা – কত বেগে বায়ু বয় প্লুটোতে বা কোন দিকেই বা তার অভিমুখ, এসব তথ্যও সহজেই পাওয়া যাবে।

দু দশক ধরেই গ্রহবিদ্যার দুরহ ঝামেলা প্লুটোকে নিয়ে। ঐ গ্রহের আকাশ নাকি গায়েব হয়ে যেতে পারে হঠাৎ করেই। অর্থাৎ ঠাণ্ডা হতে হতে প্লুটোর বায়ুস্তর মাটিতেই জমে বরফ হবে। এই আশঙ্কা নিয়েই এই গ্রহে বারবার অভিযান চালাতে চেয়েছে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।

নিউ হরাইজেন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী লেসলি ইয়াং যদিও আশ্বস্ত করেছেন। এখনও দিব্বি খোশমেজাজেই  প্লুটো – আবহমণ্ডল যথেষ্ট সজীব, ঠিকঠাকই আছে।