দূরত্ব আন্দাজের নিবিড় ক্ষমতা আছে গোল্ডফিশের

দূরত্ব আন্দাজের নিবিড় ক্ষমতা আছে গোল্ডফিশের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

স্থলচর প্রাণীদের স্বাভাবিক দক্ষতা থাকে এক স্থান থেকে অন্য একটা স্থানের দূরত্ব মাপার ব্যাপারে। কিন্তু মাছের মগজে কি একই রকম কোনও নেভিগেশান ব্যবস্থা আছে? উত্তর খুঁজতে গোল্ডফিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
একটা সংকীর্ণ ট্যাঙ্ক, ২ সেন্টিমিটার ব্যবধানে একেকটা লম্বা ফিতের মতো জিনিস ঝুলছে। এই ব্যবস্থায় ৭০ সেন্টিমিটার সাঁতার কাটতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ন’টা গোল্ডফিশকে। ঐ দূরত্ব অতিক্রম করলে বাইরের থেকে খোঁচা দিয়ে মাছগুলোকে আবার শুরুর জায়গায় ফেরত পাঠানো হত। পরীক্ষাটা বেশ মজার। মুখ্য গবেষক ডঃ অ্যাডিলেড সিবক্স জানাচ্ছেন, গোল্ডফিশ অপটিক ফ্লো ব্যবহার করে দূরত্ব আন্দাজ করতে পারে ঠিকঠাক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জীববিজ্ঞানী বলছেন, মেরুদণ্ডী প্রাণীদের স্থান সম্পর্কে জ্ঞান কীভাবে তৈরি হল সেই পদ্ধতির বিবর্তনের একটা রূপরেখা হদিশ পাওয়া যাবে।
মানুষ, পিঁপড়ে, মৌমাছি বা বাঘ – যাবতীয় স্থলচর প্রাণীরা নিজেদের চোখ আর বাইরের বস্তুর মধ্যে কৌণিক পরিমাপের পরিবর্তন বুঝতে পেরে দূরত্ব অনুমান করতে পারে। ঐ একই গবেষক দলের পক্ষ থেকে ডঃ সিসিলিয়া কার্লসনের নেতৃত্বে আরেকটা পরীক্ষা হয়েছে পিকাসো ট্রিগারফিশকে নিয়ে। দেখা গেছে অপটিক ফ্লোয়ের সাহায্যে ঐ মাছও ৮০ সেন্টিমিটার অবধি দূরত্বের হিসেব সঠিকভাবে করে।