দেশীয় টেলিস্কোপে কৃষ্ণগহ্ববর দেখলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা!

দেশীয় টেলিস্কোপে কৃষ্ণগহ্ববর দেখলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৬ মে, ২০২২

মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নতুন কীর্তি। নিজেদের তৈরি টেলিস্কোপে মহাকাশে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম দেখলেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের তৈরি ক্যাডমিয়াম-জিঙ্ক টেলুরাইড ইমেজারের (সিজিটিআই) মাধ্যমে ধরা পড়েছে কৃষ্ণ গহ্ববরের জন্মবৃত্তান্ত। ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের মতে, ভারতের এই কৃতিত্ব ‘ব্ল্যাক হোল’ সংক্রান্ত গবেষণাকে অনেকটাই এগিয়ে দিল। বিশালদেহী নক্ষত্রদের সংঘর্ষে মহাকাশে তৈরি হয় কৃষ্ণগহ্বর। বিরাট হাঁ-মুখ অন্ধকার একটা গর্ত, যার অসীম আকর্ষণ এড়াতে পারে না আলো। আলোকতরঙ্গ এর মধ্যে দিয়ে যেতে গেলেই সেই গহবর তাকে গিলে খায়। মৃত নক্ষত্র থেকেও এই ‘ব্ল্যাক হোল’ তৈরি হতে পারে। সাড়ে ৬ বছর আগে এই যন্ত্রটির কাজ শুরু করেছিল। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেন, “এটা যুগান্তকারী সাফল্য। সিজিটিআই-এর গামা রশ্মি থেকে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া গিয়েছে, সেটা আগামীদিনে আমাদের গবেষণাকে আরও উৎসাহিত করবে।” গামা রে বার্স্ট প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক বরুণ ভালেরাও। ২০১৫-য় গামা রে বার্স্ট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। টানা সাড়ে ৬ বছর ধরে সিজিটিআই যন্ত্রটি মহাকাশের দিকে চোখ রেখে বসেছিল।