নক্ষত্রের একমুখ হাইড্রোজেন ও অন্যমুখ হিলিয়ামে গঠিত

নক্ষত্রের একমুখ হাইড্রোজেন ও অন্যমুখ হিলিয়ামে গঠিত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ জুলাই, ২০২৩

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই মহাজাগতিক পরিবারে এক শ্বেত বামন আবিষ্কার করেছেন, যার দুটি মুখ। এই শ্বেত বামনের এক পাশ হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত, অন্যদিকে হিলিয়াম দিয়ে গঠিত। ক্যালটেকের একজন পোস্টডক্টরাল ইলারিয়া কাইয়াজো নেচার জার্নালে এর ওপর একটি নতুন গবেষণার নেতৃত্ব দেন।
হোয়াইট ডোয়ার্ফ হল আমাদের সূর্যের মতো এক নক্ষত্রের পোড়া অবশিষ্টাংশ। নক্ষত্র বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের হাইড্রোজেন গ্যাস ফুরিয়ে গেলে, তারা লাল দৈত্যে পরিণত হয়; একদম শেষে, তাদের বাইরের নরম উপাদানগুলি উড়ে যায় এবং তাদের কোর বা কেন্দ্রে জ্বলন্ত-গরম সাদা বামনে সংকুচিত হয়। আমাদের সূর্য প্রায় 5 বিলিয়ন বছরের মধ্যে একটি সাদা বামনে পরিণত হবে।
এই নতুন শ্বেত বামনের নাম দুই মুখের রোমান দেবতার নাম অনুসারে জানুস রাখা হয়েছে। Zwicky Transient Facility (ZTF) নামে যন্ত্র প্রতি রাতে সান দিয়েগোর কাছে ক্যালটেকের পালোমার অবজারভেটরি থেকে আকাশ স্ক্যান করে, এই যন্ত্র প্রথম জানুস – কে আবিষ্কার করেছিল। CHIMERA যন্ত্র ও পাশাপাশি স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের গ্রান টেলিস্কোপিও ক্যানারিয়াসে হাইপারক্যাম থেকে জানুসের অস্তিত্ব নিয়ে কাইয়াজো নিঃসন্দিগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ও তার দল দেখেছেন, জানুস প্রতি ১৫ মিনিটে তার অক্ষের উপর ঘুরছে।
দলটি স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করে জানুসের আলো রংধনুর মতো ছড়িয়ে দিয়ে তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে রাসায়নিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন। তাতে যখন এর একপাশ দৃশ্যমান, তখন তা শুধুমাত্র হাইড্রোজেনের উপস্থিতি প্রকাশ করে আর অন্য দিকটি যখন দৃষ্টিগোচর হয় তখন তাতে কেবলমাত্র হিলিয়ামের উপস্থিতি দেখা যায়।
এর কারণ হিসেবে দলের বিভিন্ন মতামত এসেছে। প্রথমত শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের জন্য দু ধরনের গ্যাস মিশতে পারছে না । দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের জন্য বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসের চাপ এবং ঘনত্ব পরিবর্তন হতে পারে বলে তার মনে করছেন।