নিউক্লীয় সংযোজনে যুগান্তকারী পরীক্ষা

নিউক্লীয় সংযোজনে যুগান্তকারী পরীক্ষা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

অবিস্মরণীয় সাফল্য, এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিজ্ঞানীমহলের প্রায় প্রত্যেকেই। প্রথমবারের জন্যে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। বিগত ৭০ বছর হয়ে এই সমস্যা গ্যাঁট হয়ে বসেছিল পারমাণবিক গবেষণার ক্ষেত্রে। সেই কাঁটা অবশেষে দূর হল।
যখন দুই বা তার বেশি পরমাণুর নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রককে সংযুক্ত করে একটা ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি করা হয়, তখন পারমাণবিক শক্তির জন্ম হয়। এই পদ্ধতিকেই বলে নিউক্লীয় ফিউশান বা সংযোজন। মহাকাশে নক্ষত্রদের ভেতরে যে শক্তি, তারও উৎস এই ফিউশান।
খুব কম উপাদান ব্যবহার করে, অল্প জ্বালানির সাহায্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি ফিউশান প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করা যেতে পারে। শুধু তা’ই নয়, গোটা কাজটায় কার্বন নিঃসরণ নগণ্য। অর্থাৎ, ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব শক্তি হিসেবে এটার দর নেহাত কম নয়।
কিন্তু এতদিন সমস্যাও ছিল। একেই এই সংযোজন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন কাজ। আর, বিক্রিয়া চালু রাখতে যতটা শক্তি লাগে তার চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি এর আগে। বিরাট সাফল্যের সার্টিফিকেট তো আর বিজ্ঞানীরা এমনিএমনি দিচ্ছেন না!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স লিভারমোর ন্যাশানাল ল্যাবরেটরির অন্তর্গত ন্যাশানাল ইগ্নিশান ফেসিলিটিতে এই বিক্রিয়াটা সম্পন্ন হয়েছে। দিনটা ছিল ডিসেম্বরের ৫ তারিখ, যদিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগে। ইতিমধ্যেই ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা এই সফল পরীক্ষার সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণের কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন।