১৯১১-য় আবিষ্কৃত হয়েছিল অ্যান্টার্কটিকার তুষারাবৃত ভূখণ্ড। তারপর থেকে অ্যান্টার্কটিকার চোখধাঁধানো ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রের প্রতি মানুষের আকর্ষণে ওখানে বেড়ে উঠেছে গবেষণা কেন্দ্র এবং পর্যটকদের ঘোরার জায়গা। বিশেষভাবে, বিজ্ঞানীদের মতে বাণিজ্যিক পর্যটন দ্রুত বেড়ে গিয়েছে অ্যান্টার্কটিকায়। আর এই পর্যটনশিল্পই ধীরে ধীরে ডেকে আনছে অ্যান্টার্কটিকার মৃত্যু। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শুধু ২০১৯-২০ মরশুমেই অ্যান্টার্কটিকায় আসা পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজারেরও বেশি! এছাড়া পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাদেশে ৭০টির বেশি গবেষণাগারে থাকা স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা হাজারেরও বেশি। নেচার বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি পর্যটকের জন্য গড়ে ৮৩ টন বরফ অ্যান্টার্কটিকার পর্যটনযোগ্য ২০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল থেকে গলে যাচ্ছে। গবেষকরা দেখেছেন প্রতি গ্রাম তুষারের স্তরে রয়েছে ১ ন্যানোগ্রাম ব্ল্যাক কার্বন। যার জন্য দায়ী মূলত পর্যটনশিল্প।