পুরনো গাছ খরা-প্রতিরোধী, কিন্তু কিছু নতুন গাছও ফিরে আসতে পারে

পুরনো গাছ খরা-প্রতিরোধী, কিন্তু কিছু নতুন গাছও ফিরে আসতে পারে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

পাঁচ মহাদেশ জুড়ে কুড়ি হাজারের বেশি গাছ নিয়ে একটা গবেষণা হয়েছিল। দেখা গেছে, খরা প্রতিরোধে অনেকটাই এগিয়ে আছে বৃদ্ধ গাছ। অর্থাৎ, সংরক্ষণের তালিকায় প্রথমদিকে তাদেরই জায়গা হওয়া উচিৎ।
অরণ্য ধ্বংস করা আর নতুন অরণ্য সৃষ্টি – দুটো কাজই বেশ দ্রুতগতিতে হয়ে চলেছে। গড় হিসেবে দেখলে বিশ্বব্যাপী গাছেদের বয়েস কিন্তু কমছে। মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের বিশেষজ্ঞ ডঃ সুন ফুং আউ বলছেন, অনেক যুগ ধরে বেড়ে ওঠা পুরনো জঙ্গলের সংখ্যা কমছে সারা পৃথিবী জুড়েই। এদিকে আবার খরার প্রবণতা আর ভয়াবহতা দুইই বাড়ছে। নেচার পত্রিকার ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মুখ্য প্রণেতা উনিই।
পুরনো গাছের মাথায় ঘন পাতার সামিয়ানা থাকে, যাকে ক্যানোপি বলে। জঙ্গলের যেসব গাছের ক্যানোপি অনেকটা উঁচুতে থাকে, গবেষণা বলছে, তারাই নাকি খরার প্রকোপ সহ্য করতে পারে। এছাড়াও বাতাসের দূষিত কার্বন শোষণ করতেও তাদের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং জলবায়ু সংকটের মোকাবিলায় এই সব বুড়ো গাছেদের সংরক্ষণ আগে করা দরকার।
ডঃ আউ জানালেন, যে গাছগুলো বয়সে নবীন তারা আবার খরার ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারে। অর্থাৎ খরার প্রভাবে এরা সংবেদী। স্বল্প সময়ের নিরিখে দেখলে কিন্তু একটা অরণ্যে নতুন গাছেদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে খরার অভিঘাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘকালে ব্যাপারটা মোটেই তেমন না। কারণ ঐ সব নবীন গাছ খরার প্রকোপ থেকে উদ্ধার পাওয়ার ক্ষমতা ধরে।
ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জাস্টিন ম্যাক্সওয়েল দাবি করছেন তাঁদের গবেষণা ফরেস্ট ম্যানেজারদের কাজ লাগবে।