‘পৃথিবীর গাড়িটা থামাও…আলো কমে যাচ্ছে…!’ প্রবাদপ্রতিম সলিল চৌধুরী এই খবর জানতে পারলে তার গানের লাইনটা হয়ত এভাবে লিখতেন। কিন্তু ঘটনাটা সত্যি বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। তাদের গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার নামের এক জার্নালে। গবেষণা জানিয়েছে সমুদ্রের জলেই তৈরি হচ্ছে বিপদসঙ্কেতের। ২০ বছর আগে পৃথিবীর যে ঔজ্বল্য ছিল বর্তমানে সেই ঔজ্বল্য তার অর্ধেক হয়ে গিয়েছে! গত কয়েক দশক ধরে গবেষকরা আলোর পরিমাপ করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর যে ঔজ্বল্যে চাঁদের এত আলো হয়, গবেষকদের পৃথিবীর ঔজ্বল্য পরিমাপে চাঁদও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। নিউ জার্সির একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফিলিপ গুড। তিনি আছেন এই গবেষণায়। জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে তাদের পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপের কাজ চলছে। সাধারণত, সুর্যের আলোর ৩০ শতাংশ প্রতিফলিত হয় পৃথিবী থেকে। সেখানে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে গত তিন বছরে ০.৫ শতাংশ প্রতিফলন কমে গিয়েছে! যেটা ২০ বছর আগের প্রতিফলনের পরিমাণের অর্ধেক! আর কমে যাওয়ার পেছনে বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ, আটলান্টিক, প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব দিকে সমুদ্রের ওপর গত কয়েক বছর ধরে ঘন মেঘের আস্তরণ হয়ে থাকা। নাসার ক্লাউড এবং পৃথিবীর রেডিয়ান্ট এনার্জি প্রোজেক্ট্ (সিইআরইএস)বিজ্ঞানীদের জানিয়েছে অনেক বছর ধরেই, প্রশান্ত মহাসাগরের পূব দিকের ওই সমুদ্রের তাপমাত্রা উষ্ণায়নের ফলে এতটাই গরম হয়ে থাকে যে সেখানেই সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ, ঘন মেঘের আস্তরণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই ছবিটা গত কয়েক বছরের নয়, গত কয়েক দশকের! তারই প্রতিফলনে পৃথিবীর আলোর নিস্তেজ হয়ে পড়া!