প্রচলিত জলশোধনের প্রক্রিয়ায় রদবদল করে নতুন মডেল

প্রচলিত জলশোধনের প্রক্রিয়ায় রদবদল করে নতুন মডেল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২ জুন, ২০২৩

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভেদা পর্বতে বরফের খোঁজে গিয়েছিলেন একদল প্রযুক্তিবিদ। কিন্তু হতাশ হয়েছিলেন তাঁরা। ক্যালিফোর্নিয়ার এক তৃতীয়াংশ জলের জোগানও সেখান থেকে হবে না। বেশিটাই শুকনো ধুলো কাদা আর পাতলা বরফের ছোট ছোট চাঙড়।
সামনের দশকগুলোতে জলের সংকট গোটা আমেরিকা জুড়েই আরও তীব্র হতে চলেছে। ন্যাশানাল রিনিউয়েবেল এনার্জি ল্যাবরেটরির গবেষক হরিস্মরণ সিতারমন বললেন, এই শতকের মধ্যেই সিয়েরা নেভেদার পর্বতচুড়োয় থাকা ৬৫% বরফ গলে যাবে। সুতরাং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো খরাপ্রবণ প্রদেশে জল সরবরাহের চাপ বহুগুণ বেড়ে যাবে। নোনা জলের উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই।
সমস্যার সমাধানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক বাত্তিয়াতোর সাথে জুটি বেঁধেছেন সিতারমন। প্রবাহী গতিবিদ্যা আর সংখ্যাতাত্ত্বিক পদ্ধতির প্রয়োগে একটা নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা দুজন। তাতে বিশ্লেষণ করা যাবে কীভাবে দূষিত জল (যেমন – লবণাক্ত জল) বিপরীত অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্দার মধ্যে দিয়ে শোধিত হতে হতে পরিস্রুত হয়ে উলটোদিক দিক দিয়ে বের হয়।
ঐ দুজন বিজ্ঞানীর কৃতিত্ব মূলত বিপরীত অভিস্রবণ প্রক্রিয়াটাকে আরও নিখুঁত করে তোলা। যাতে কোনও রকমের ভুলচুক না হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নোনা জল শোধনের জন্যে বিপরীত অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় উচ্চচাপ প্রয়োগ করে একেকটা পর্দার মধ্যে দিয়ে জল অন্য পর্দায় যায়। বিষয়টা উন্নত কফি ফিল্টারের মতো। নুন আর অন্যসব অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর খনিজ লবণকে ছেঁকে বাদ দিয়ে দেয়।