১৯৫০ এর পর থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক জমতে শুরু করেছে মাটিতে সাগরে। বর্তমানে প্রতি বছর ৩৮ কোটি টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় সারা বিশ্বে। যা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদ থেকে সাধারনত মানুষ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বহু অনুজীব বাঁচতে শুরু করেছে এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক খেয়ে। মাটি এবং সমুদ্রের গভীরতায় – দুই স্থানেই পাওয়া যায় এদের। শরীর থেকে নিসৃত উৎসেচক দিয়েই তারা মাটি ও সাগরের গভীরে জমা প্লাস্টিক ভেঙে ফেলে। তারপর সেই প্লাস্টিক খায়। খাদ্য সহজপাচ্যও। অনুজীব গুলির থেকে অন্তত ১২ হাজার উৎসেচকের হদিশ মিলেছে। যা প্লাস্টিককে খুব সহজেই ভেঙে দিতে পারে। এই উৎসেচক গুলির খোঁজ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন সদ্য। এবং এই উৎসেচক গুলি গবেষণাগারে কৃত্তিম ভাবে বানিয়ে প্লাস্টিক বর্জ্যকে পদার্থে বদলে দেওয়ার পদ্ধতির কথা ভেবেছেন বিজ্ঞানীরা। উৎসেচকগুলি প্লাস্টিককে খুব সহজে মানুষের কাজে লাগে এমন পদার্থে রূপান্তরিত করতে পারে। সেই ভাবনার কথাই উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মাইকোবায়াল ইকোলজি’তে।
অনুজীবগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করতে গিয়ে অন্তত কুড়ি কোটি জিনের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবং পেয়েছেন অনুজীব গুলি থেকে উৎপন্ন ৩০ হাজার উৎসেচকের হদিশ। এদের মধ্যে ১২ হাজার উৎসেচকের সন্ধান জানা ছিল না বিজ্ঞানীদের। সমস্ত মহাসাগর মিলিয়ে ৬৭ টি অঞ্চলে থেকা অনুজীবদের দেহে মিলেছে উৎসেচকগুলি।