গবেষণাটি হয়েছে নেদারল্যান্ডসে। করেছে আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, রয়্যাল এয়ারফোর্স নেদারল্যান্ডস এবং নেদারল্যান্ডসের আবহাওয়া দফতর। গবেষণার বিষয়বস্তু বাজি এবং পাখি! বলা হছে নেদারল্যান্ডসের মত ‘সভ্য’ দেশেও বাজির ঝলকানিতে কীরকম অস্থির হয়ে পড়ে পাখি! নববর্ষের আগের রাত, মানে ৩১ ডিসেম্বরের রাত ১২টা থেকে ১লা জানুয়ারির রাত-যে পরিমাণ আতসবাজি এবং শব্দবাজি পোড়ে, গবেষকরা জানাচ্ছেন সেটা ৩টে স্যাটার্ন ভি রকেট থেকে নির্গত গ্যাসের সমান! ১০.৮ মিলিয়ন কিলোগ্রাম! গবেষকরা এই বিপুল পরিমাণ আলোর ঝলকানি ও বিভিন্নরকমের বিকট শব্দে পাখিদের কী অবস্থা হয়, দেখার জন্য আবহাওয়া দফতর ব্যবহ্রত রাডার বসিয়েছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, রাত ১২টা বাজার পর থেকেই আকাশ যখন আলো ও শব্দের দূষণে অস্থির হয়ে ওঠে, একইরকমভাবে অস্থির হয়ে ওঠে পাখিরা। রাডারে গবেষকরা দেখেছেন হাজার হাজার পাখি মাটি থেকে অন্তত ৫০০ মিটার ওপরে উঠে যায়। অন্তত ৪৫ মিনিট পাখির ঝাঁক সেই অবস্থায় ওড়ে। তারপর তারা উড়ে যায় নয়তো কোনও তৃণভূমির দিকে, নয়তো কোনও জলাভূমির দিকে। গবেষকরা জানিয়েছেন নববর্ষের রাত এই পাখিদের কাছে দুঃস্বপ্নের এক রাত! এমনিতেই নীচ দিয়ে যাওয়া বিমান, ড্রোন, মোটর বোটের মত জলযানে অতিষ্ঠ পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীরা। নববর্ষের রাতের বাজি তাদের কাছে বাড়তি যন্ত্রণা!
একই বিষয় নিয়ে কোনও গবেষণা কি ভারতে হয়? বা হয়েছে? আগামী সপ্তাহেই কালী পুজো এবং দেশ জুড়ে দেওয়ালি! কী পরিমাণ আতসবাজি এবং শব্দ বাজি পোড়ানো হয় এই দু’তিনটে দিন সেটা সর্বজনবিদিত। ২০১৯-এ দেওয়া হিসেব জানাচ্ছে কলকাতায় কালি পুজোর রাতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল! ভারতের বিভিন্নরকমের শহর তথা কলকাতার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া পাখিদের দিকে কি কেউ তাকায়? রাডার লাগিয়ে দেখলে নেদারল্যান্ডসের ছবিটাই ভেসে উঠবে এখানেও!