আকারে ছোট? তাতে কি! বরং এই কারণেই আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অন্ধপ্রদেশের এক বিশেষ গো প্রজাতি- পোঙ্গানুর গরু। এদের ‘বামন গরু’ ও বলা চলে। দৈর্ঘ্যে, একটা স্পিটজ কিংবা স্পেনিয়েল কুকুরের মতন বা বলা যায় মাঝারি মাপের একটা ছাগল। এমন কি বেশ কিছু ফ্ল্যাট বাসিন্দা এদের পোষ্য হিসাবে একেবারে ঘরের সদস্য করে ফেলেছে, সেই ভিডিও ও এখন ভাইরাল।
দুধ উৎপাদনের জন্য, বিগত সময়ে জার্সি গরুগুলির খুবই চাহিদা ছিল। কিন্তু ভারতের জলবায়ু যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এই গরুগুলি বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়ার ধাক্কা নিতে পারছে না। সেই জায়গায়, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় বেড়ে উঠতে, পোঙ্গানুর গরুগুলির কোন অসুবিধা হয় না। উপরন্তু, দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা ও দুধের মান, অন্যান্য গরুর থেকে অনেক ভালো। তাই, শুধুমাত্র এদের ছোট চেহারার জন্য নয়, বরং এদের উপকারিতা আর পালনের সুবিধাটাও বিশেষ উল্লেখ্য। আর এইসব কারণেই গ্রামীণ ভারতে সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা নতুন ছাপ রাখছে এই বামন গরু। স্বদেশী গরুর প্রজাতিগুলির মধ্যে, পোঙ্গানুর গরু এখন বেশ জনপ্রিয়।
অন্ধপ্রদেশের চিত্তর জেলায়, এই প্রজাতির পালন শুরু হয়। এই গরুর ব্রিড তৈরির প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। তবে তখন সেরকম ভাবে সফলতা পাওয়া যায়নি। এরপরে ২০০৭-১৬ সালে, ৩০ টি সরকারি খামারে সফলতার সঙ্গে এই বামন গরুর চাষ শুরু হয় এবং চলছে। বিগত বছরের রিপোর্ট যা বলছে, তাতে এখন এদের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি। লম্বায় ৭০- ১o৭ সেন্টিমিটার, ওজনে ১৭০- ২৪০ কিলোগ্রাম। এই গরুগুলি সাধারনত সাদা, ধূসর, বাদামি, লাল আর বিরল ক্ষেত্রে, কালো রঙের হয়ে থাকে। বছরে এক একটি গরু প্রায় ৫৪৬ লিটারের মতন দুধ উৎপাদন করে থাকে – দৈনিক প্রায় 2.৭ লিটারের মতন। এই গরু নিয়ে গবেষণা, চর্চা, চাহিদা উত্তোরত্তর বাড়ছে।