বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য বন্যার জল

বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য বন্যার জল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ মার্চ, ২০২৩

ভুক্তভোগীরা জানে, বন্যা একটা অভিশাপ। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, জীবনহানি, সম্পত্তিনষ্ট… তালিকাটা ছোট নয়। কিন্তু চার্লস স্টুয়ার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুতন্ত্রবিদ পল হামফ্রিস উলটপুরাণ শোনাচ্ছেন। নদী আর প্লাবনভূমির বাস্তুতন্ত্রের জন্য বন্যা একটা প্রাকৃতিক আর জরুরি বিষয়।
হামফ্রিসের মতে, যে সমস্ত অঞ্চল পর্যায়ক্রমে প্লাবিত হয়, আবার শুকিয়ে যায় সেখানে কিন্তু অনেক প্রাণী বাস করে। এছাড়াও আছে গাছপালা, ছত্রাক আর ব্যাকটেরিয়া মিলিয়ে বৃহৎ এক জীবগোষ্ঠী। এইসব জীবের তীব্র স্ফুরণ ঘটে যখন জল আসে বন্যার আকারে। তাদের বংশবৃদ্ধি হয় দ্রুত। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে, অথবা নদীনালার স্বাভাবিক অবস্থা বজায় আর সর্বোপরি বাস্তুতন্ত্রের যোগসূত্র ধরে রাখতে বন্যার দরকার।
মানুষ নদীর মোকাবিলা করে উঁচু উঁচু বাঁধ আর জলাধার তৈরি করে। কিন্তু এতে করে ছোট বা মাঝারি বন্যার ঘটনা কমে যায়। নদীখাতে জমতে থাকে জৈব পদার্থ। হঠাৎ বড়ো বন্যায় সেসব ধুয়ে ভেসে গেলে ব্ল্যাকওয়াটার ইভেন্ট, জলে অক্সিজেন কমে যাওয়া বা মাছেদের মৃত্যুও ঘটতে পারে।
আবার, দীর্ঘকালীন পরিসরে বন্যা একেবারেই আবশ্যিক। নইলে নদীর স্বাভাবিক গতিবিধিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তাই বড়ো বন্যা ভালো। তাতে নদীতট, প্লাবনভূমি, নদীতে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =