ছোকরা থেকে বুড়ো – বিটকয়েনে মজে আছে সব্বাই। বুঝে বা না বুঝে। কিন্তু কে আর জানত গরুর খাটাল বা খনিজ তেলের চেয়েও পরিবেশের অনেকগুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে এই মায়ামুদ্রা।
সম্প্রতি কুখ্যাত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল অভিনব অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। ক্ষতির হিসেব দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই হতবাক। কয়েন প্রতি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণটা এক টনের কম ছিল ২০১৬তে। সেটাই একুশ সালে দাঁড়িয়েছে ১১৩ টন!
বিটকয়েন যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা সেটা অনেকেই আন্দাজ করতে পারেন। বাজারে যতটা মূল্য এই ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে তাতে ৩৫ ভাগ জলবায়ুর ক্ষতিও সামিল। সহজভাবে বললে, একশো টাকা দামের বিটকয়েন তৈরিতে ৩৫ পয়সার খেসারৎ দিতে হয় পরিবেশকে। কিছুটা বিরক্তির সুরেই মুখ্য গবেষক বেঞ্জামিন জোন্স জানাচ্ছেন, কোনভাবেই এটা স্থায়ী শিল্পের মর্যাদা পেতে পারে না।
তুলনা করতে গিয়ে প্রোফেসর জোন্স বললেন, অষ্ট্রিয়া বা পর্তুগালের মতো দেশে ২০২০ সালে যা বিদ্যুৎশক্তি প্রয়োজন হয়েছিল, ঐ বছর বিটকয়েন মাইনিং করতে গিয়ে তার চেয়ে বেশি শক্তির অপচয় হয়েছে।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায় বেরিয়েছে গবেষণাপত্রটা।