গরমের ঠ্যালায় শুধু মানুষ নয়, প্রাণ ওষ্ঠাগত শহরের গাছপালার। নতুন গবেষণায় আরও পরিষ্কার হচ্ছে ওক, ম্যাপল, পপলার, পাইন বা চেস্টনাটের সহ এক হাজারেরও বেশি গাছের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। বিজ্ঞানীরা চাইছেন বাদবাকি গাছপালার ঠিকঠাক যত্ন হোক। সম্ভব হলে খরা প্রতিরোধ করতে পারে এমন প্রজাতির গাছ লাগানোর নিদানও দিচ্ছেন তারা।
গাছের জন্যেই যে নগর এলাকার বাতাবরণ কিছুটা ঠাণ্ডা থাকে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ার পেনরিথে পশ্চিম সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ম্যানুয়েল এস্পেরন-রড্রিগেজ বলছেন উষ্ণতা আর শুষ্কতা যতই বাড়বে, বিপদের আঁচও পৌঁছবে অন্যান্য গাছে। যদিও উনি হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁর মতে, রাস্তার ধারের বড়ো গাছ যেমন তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচিয়ে শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, তেমন তাদের সংরক্ষণও আমাদেরই দায়িত্ব। আগামী প্রজন্মও যাতে সেই সুফল পায়, তাই এখন কোন ধরনের গাছ লাগানো হচ্ছে সেটাও খেয়াল রাখা উচিৎ, সংবাদসংস্থা বিবিসিকে উনি এমনটাই বলেছেন।
৭৮টা দেশের ১৬৪টা শহরের চার হাজারের বেশি গাছপালা নিয়ে একটা তথ্যভাণ্ডার তৈরি হয়েছে। উদ্যানে এবং সড়কের ধারে ঠিক কোন কোন জাতের গাছ পাল্টে যাওয়া আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না, তাদের চিহ্নিত করা হয়। মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর বৃষ্টিপাতের হেরফেরের জন্যেই বেশির ভাগ উদ্ভিদের এই দুরবস্থা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শহরাঞ্চলের অর্ধেক গাছ সংকটে। কিন্তু ২০৫০ সালে সেই সংখ্যাটাই পৌঁছতে পারে দুই তৃতীয়াংশে। ভারত, নাইজার, নাইজেরিয়া বা টোগোর মতো গরম দেশে শহুরে গাছের বিপদ আরও খানিকটা বেশি।
নেচার পত্রিকার ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগে বেরিয়েছে এই গবেষণাপত্র।