কাকিলা মাছের নাম শুনেছেন? বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এখন। একসময় বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম মাছগুলোর মধ্যে এর নাম থাকত। এখন আর শোনা যায় না কাকিলার নাম। শুধু কাকিলা নয়, রয়েছে মহাশোল, পিপলা, খরকি, কালা, পাবদা, বাঘের মত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আরও অনেক মাছ। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন আইইউসিএন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ৬৪টি প্রজাতির মাছকে বিপন্ন বলে ঘোষণা করেছিল। তারই প্রতিফলনে, নড়ে চড়ে বসেছিলেন বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিমভাবে প্রজননের ব্যবস্থা এনেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতেই কাজ হচ্ছে। ৬৪-র মধ্যে অন্তত ৩১টি প্রজাতির বিলুপ্ত মাছকে তারা আবার পুর্নজীবন দিচ্ছেন। বাংলাদেশ আর মাছ প্রায় সমার্থক। আর এর অন্যতম কারণ ওই দেশের মিষ্টি জল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৬০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১৪৩ প্রজাতির মাছই ছোট প্রজাতির। ছোট মানে, লম্বায় ছোট। এগুলোর মধ্যেই ৬৪টি প্রজাতির মাছকে বিপন্ন বলে ঘোষণা করেছিল আইইউসিএন। সরকারও ‘বিপন্ন’ প্রজাতির মাছদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে। ২০৩০-এর মধ্যে ‘বিপন্ন’ বলে ঘোষিত প্রজাতির মাছদের বাঁচাতে হবে বলে তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে প্রকল্প। মৎস্য বিজ্ঞানীরা অবশ্য গত কয়েক বছরে ৩১টি বিরল প্রজাতির মাছকে, কৃত্রিম প্রজননের সহায়তায় পুকুরেও চাষের মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে এনেছেন।