বিশ্বের বিরলতম সামুদ্রিক প্রাণী বলা হয় তাদের। ভ্যাকুইটা সেই প্রাণীর নাম। এককথায় একে ডলফিন বললেও চেহারায় ডলফিনের সঙ্গে একটু তফাৎ থাকে এই প্রাণীর। দৈর্ঘ্যে দেড় মিটার, টর্পেডোর মত আকৃতি, শরীরের নিচের অংশ সাদা আর চোখের চারপাশ দিয়ে কালো রিং আর ৫৪ কেজি-র ওজনের ভ্যাকুইটাদের পৃথিবীতে উপস্থিতি কয়েকবছর আগেও ছিল ২০টি। সেই প্রাণী এখন আক্ষরিক অর্থে বিপন্ন। মাত্র ১০টি ভ্যাকুইটাকে প্রাণীবিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন মেক্সিকোর গালফ ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্রে।
এই বিরল প্রাণী বিজ্ঞানীরা প্রথম দেখেছিলেন ১৯৫৮-য়। তাদের দাবি বিংশ শতাব্দীতে ভ্যাকুইটা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ৯৯ শতাংশ! এবং এর সৌজন্যেও সেই মানুষ! লোহার তার দিয়ে তৈরি করা বিশাল বিশাল মাছ ধরার জালে ভ্যাকুইটা যখনই আটকে পড়েছে আর বেরতে পারেনি। বিলুপ্তপ্রায় সেই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে এবার নেমেছেন গবেষকদের একাংশ। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে ভ্যাকুইটাদের জিনোম বিশ্লেষণ করে কৃত্রিমভাবে তাদের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে চেষ্টা করে হবে বংশবৃদ্ধি করার। সেই কাজে অনেকটা সফলও হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এরপর শুধু সময়ের অপেক্ষা।