বিশ্বের বৃহত্তম আবর্জনা-দ্বীপ এখন বাস্তুতন্ত্র

বিশ্বের বৃহত্তম আবর্জনা-দ্বীপ এখন বাস্তুতন্ত্র

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ মে, ২০২২

বিশ্বের বৃহত্তম আবর্জনা দ্বীপ ‘গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচ। মাইলের পর মাইল সমুদ্রে ভাসছে মাছ ধরার জাল, প্লাস্টিকের বোতল, টায়ার, টুথব্রাশ-সহ অসংখ্য পরিত্যক্ত আবর্জনা। প্রশান্ত মহাসাগরের এক বিশেষ অঞ্চলকে বলা হয় বৃহত্তম আবর্জনা দ্বীপ। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে এই আবর্জনার স্তূপ বর্তমানে রূপান্তরিত হয়েছে আস্ত বাস্তুতন্ত্রে।
২০১৯এ প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচের মধ্যে দিয়ে ৩০০ নটিক্যাল মাইল সাঁতার কাটেন ফরাসি সাঁতারু বেনোট লেকোমতে। তখন তার নজরে এসেছিল চারপাশের দূষণ-সম্পৃক্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজস্র জেলিফিস, কচ্ছপ, মাছ, আবার কখনও কখনও ছোটো সামুদ্রিক প্রাণীর দল।
সাধারণত সমুদ্রস্রোতের প্রকারভেদ এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর ভিত্তি করে, পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে। প্রত্যেকটি বাস্ততন্ত্রেই দেখা মেলে আলাদা আলাদা প্রাণীর। গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচের বাস্ততন্ত্রে এই পাঁচটি গোত্রেরই প্রাণীদের দেখা মেলে। মানে আক্ষরিক অর্থেই ফাইভ-গিয়ার ইকোসিস্টেমে রূপান্তরিত হয়েছে এই দূষণখ্যাত অঞ্চল।
ওসান ক্লিন-আপ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে এই অঞ্চলে এখন ৭৯ টন প্লাস্টিক রয়েছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য দূষকের উপস্থিতি সাবানের মতো শ্লেষ্মার চাদর তৈরি করে এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে ভেলার মত এই চাদরের উপস্থিতিই আসলে প্রাণের অস্তিত্বের কারণ হয়ে উঠেছে। ভাসমান এই ভেলায় বংশবিস্তার করে চলেছে বহু ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণী। এখনও পর্যন্ত এই বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখে দূষণরোধের কোনও নির্দিষ্ট উপায়ের সন্ধান দিতে পারেননি গবেষকরা। হয়ত একদিন পারবেন। কিন্তু বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা কি আদৌ নজর দেবেন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে? সেই নিয়ে সন্দেহ থেকে যাছে!