বেআইনি নির্মাণ আটকাতে সাহায্য করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বেআইনি নির্মাণ আটকাতে সাহায্য করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

শহরের প্রাণকেন্দ্রে বড়ো বিল্ডিংয়ে কিংবা সিনেমাহলের মাথায় ড্রোন বা অন্য কোনও মনুষ্যহীন বায়ুযান দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এতদিন ধরে মূলত যুদ্ধের দরকারেই ড্রোন ব্যবহার হত। কিন্তু এখন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে, এমনকি চলচ্চিত্র পরিচালক বা বিজ্ঞানীরাও এই যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে থাকেন। এবার বাড়িঘর তৈরিতে কোথায় ভুলচুক হয়েছে সেগুলো খুঁজে পেতে কাজে লাগানো হবে ড্রোন আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
লিথুয়ানিয়ার কাউনাস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানী রাইটিস মাস্কেলিউনাস দেশের একাধিক গবেষকদের নিয়ে একটা দল তৈরি করেছিলেন। ভিলনিয়াসের পুরনো শহর ও তার আশেপাশের এলাকাতে বড়ো বড়ো বাড়িগুলোর সামনের দিকটা পরীক্ষা করে দেখেছেন। সাথে ছিল ড্রোন আর ড্রোন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
গবেষণায় স্থানীয়ভাবে সাহায্য করেছেন ভিলনিয়াস গেদিমিনাস টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আন্দ্রিয়াস কাটকেভিচিয়াস। উনি বলছেন, স্থাপত্যের নিরিখে ভিলনিয়াস শহরটা একেবারেই অনন্য। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও বটে। গথিক চার্চ থেকে শুরু করে কাচের নির্মাণ সব রকমের নকশা আর নির্মাণ কৌশলের সন্ধান পাওয়া যাবে।
এদিকে, গবেষক রাইটিস মাসস্কেলিউনাসও খুশি প্রথম পরীক্ষার পর। এতসব বিভিন্ন ধরণের বাড়িঘরের ভেতরে কোথায় কি ভুলভ্রান্তি রয়েছে, কোথায় নিয়ম ভাঙা হয়েছে সেগুলোর আন্দাজ মিলেছে। যদিও পদ্ধতি হিসেবে আরও অনেক ছোটখাটো ব্যবহারিক সমস্যা দূর করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।