ব্যাঙ সাপ খাচ্ছে। এবাক্য পড়ার পরেই ব্যাকরণবিদ বলবেন এটি অশুদ্ধ বাক্য। কিন্তু না। এটি শুদ্ধ বাক্য। যদি ব্যাঙটি হয় আফ্রিকান বুলফ্রগ। আশ্চর্য এই ব্যাঙকে বলা যেতে পারে মাংশাসী প্রাণী। সাধারণ ব্যাঙ পোকামাকড় ইত্যাদি খায়, তবে আফ্রিকান বুলফ্রগ ছোটো অবস্থায় পোকামাকড় ও ছোটো মাছ দিয়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস শুরু করে, পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বুলফ্রগ ছোটো স্তন্যপায়ী যেমন ইঁদুর, খরগোশ, ছোটো বিড়াল, এছাড়াও পাখি, সাপ ইত্যাদিও খেয়ে নেয়। অত্যন্ত ধারালো দাঁত থাকার ফলে এসব খাদ্য গ্রহন খুব সহজ হয় বুলফ্রগের কাছে। যদিও পুর্ণবয়স্ক পুরুষ বুলফ্রগরা ব্যাঙাচিকে রক্ষা করে বড় হওয়া পর্যন্ত। তবু উল্লেখ্য বুলফ্রগদের মধ্যে নিজপ্রজাতির মাংশ খাওয়া অপ্রচলিত নয়। বুলফ্রগ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাঙ। জল্পাই সবুজ রঙা এবং গলার কাছটা হলুদের পোচ থাকার কারণে দেখতেও চমৎকার হয় ব্যাঙটি। এরা লম্বায় প্রায় ৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। মেয়ে ব্যাঙরা অবশ্য একটু ছোটো – ৬ ইঞ্চি মতো। গড়ে প্রায় ৩০ বছর বাঁচে এই ব্যাঙ। এমনকি ৩৫ অব্দিও প্রায়ই আয়ু হয় এদের। এই প্রজাতির সবেচেয়ে বেশিদিন বাঁচার রেকর্ড আছে ৪৫ বছর। ওজন পুরুষ বুলফ্রগদের গড়ে ১.৪ কেজি আর স্ত্রী বুলফ্রগের ক্ষেত্রে আয়তন ছোটো হওয়ার জন্যে ওজনও তুলনায় কম -গড়ে ৬৪০ গ্রাম।
অ্যাকোরিয়ামে যেমন মাছ রাখে তেমনি আপনার বাড়ির সূর্যালোকিত স্থানে উপযুক্ত খাদ্য ও যথাযথ পরিচর্যায় বাড়িতেই রাখতে পারেন এই আশ্চর্য প্রজাতির ব্যাঙ।