ব্ল্যাকহোলে কীভাবে প্রতিফলিত হয় ব্রহ্মাণ্ড, ব্যাখ্যা করবে গাণিতিক সমীকরণ

ব্ল্যাকহোলে কীভাবে প্রতিফলিত হয় ব্রহ্মাণ্ড, ব্যাখ্যা করবে গাণিতিক সমীকরণ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩০ অক্টোবর, ২০২২

কৃষ্ণগহ্বরের পরিধি জুড়ে আলোর মালা। সেই বলয়েই প্রতিফলিত হয় আমাদের মহাবিশ্বের ছবি। এবার সেই প্রতিফলনের ঘটনাকেই নিখুঁতভাবে বর্ণনা করার জন্যে মহাকাশবিজ্ঞানীরা তৈরি করলেন অভিনব একগুচ্ছ গাণিতিক সমীকরণ।
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে অনেক তথ্যই মানুষকে হতভম্ব করে দিতে পারে। তার মধ্যেই একটা হচ্ছে এই অদ্ভুতুড়ে মহাজাগতিক বস্তুর চরম অভিকর্ষ বল। আমরা জানি মহাকাশে সবচেয়ে বেগবান হোল আলোকরশ্মি। তার চেয়ে বেশি গতিতে কেউই ছুটতে পারে না। সেই মহাশক্তিধর আলোও আটকে পড়ে যায় ব্ল্যাকহোলের অভিকর্ষের ফাঁদে।
কৃষ্ণগহ্বরের বাইরে একটা নির্দিষ্ট পরিধি থেকে কোনও বস্তুই আর ফিরে আসতে পারে না, অতলে তলিয়ে যায় শেষমেশ। ঐ সীমাটাই ইভেন্ট হরাইজেন, যাকে সোয়ার্জচাইল্ড রেডিয়াস বলে বিজ্ঞানের পরিভাষায়। যদি কোনও ফোটন কণা ঐ পরিধি অতিক্রম করে ফেলে কোনোভাবে তাহলে ব্ল্যাকহোলের বক্রতল ধরেই তাকে ঘুরপাক খেতে হবে। অর্থাৎ, আমাদের দৃষ্টিতে আলোর গতিপথ হয়ে উঠবে কুণ্ডলীকৃত। এই কারণেই ইভেন্ট হরাইজেনের চারিদিকে ফোটন কণার একটা বলয় সবসময়েই তৈরি হয়ে থাকে।
গাণিতিক সমীকরণটা কেমনভাবে তৈরি? প্রতিটা প্রতিফলনের নৈকট্য নির্ভর করে ব্ল্যাকহোলের সাপেক্ষে ঠিক কত ডিগ্রি কোণে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এবং কোন বেগে ঐ ব্ল্যাকহোল ঘুরছে। ঐ দুটো রাশি জানা থাকলেই গাণিতিক সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। এমনই জানিয়েছেন সমীকরণের উদ্ভাবক আলবার্ট স্নেপেন। উনি ডেনমার্কের নিলস বোর ইন্সটিটিউটে পদার্থবিদ্যার ছাত্র।
গবেষণাপত্রটা বেরিয়েছে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায়।