ভারতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো খুব কঠিন

ভারতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো খুব কঠিন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ মার্চ, ২০২২

জমি আইনের জটিলতার জন্যই আগামীদিনে ভারতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো খুব কঠিন। গতবছ গ্লাসগোয় সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের ক্লাইমেট চেঞ্জিং সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, দেশে অ-জীবাশ্ম জ্বালানীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ২০৩০-এর মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট বাড়িয়ে ফেলা হবে। যার মধ্যে এবছর শুরু করা হবে ১০৪ গিগাওয়াট উৎপাদন।
কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। আসামের নাগাও জেলার দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভারতে জমি আইনের জটিলতার জন্য এদেশে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো কতটা কঠিন।
গতবছর, আসামের নাগাও জেলায় সরকারিভাবে জমির মালিকদের কাছ থেকে ৯১ একর জমি কিনেছিল আজুরে। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত এই কোম্পানি ৯১ একর জমির বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে একটি সোলার প্যানেল তৈরি করা ছিল সংস্থাটির উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্দেশ্য বাস্তবে পূরণ হয়নি স্থানীয় আদিবাসীদের আন্দোলনে! সিঙ্গুরের মত স্থানীয় মানুষ জমির ওপর বসে পড়েছিলেন। তাদের আন্দোলনের একটাই স্লোগান ছিল, জমি দখল করা যাবে না। পুলিশের লাঠি চার্জে আহত হয়েছিল প্রচুর মানুষ। আহতদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলারাও ছিলেন। শেষপর্যন্ত জমি থেকে আদিবাসীদের সরানো গেলেও বিষয়টি চলে যায় জেলা কোর্টে। যে কারণে, এখন ওই জমিতে পড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল নীল রঙের গ্রিড, তারের জঞ্জাল। সেগুলো পাহারা দিচ্ছে কোম্পানি নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। জমিটা চাষের জমি ছিল। চাষীদের রোজগার? দৈনিক ১৫০ টাকাও নয়! কিন্তু কোম্পানি যাদের জমি কিনেছিল, তারা জানতে পারেনি চাষের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও আজুরে কোম্পানিতে কোনও কর্মসংস্থান হবে কি না।
পরিবেশবিদদের হতাশা, আগামী ২০ বছরে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে। কিন্তু সৌরশক্তির সহায়তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে কীভাবে? মানুষই তো সেই কাজে প্রধান বাধা হয়ে যাবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eleven =