ভৌত রসায়নের দুশো বছরের পুরনো রহস্যের সমাধান

ভৌত রসায়নের দুশো বছরের পুরনো রহস্যের সমাধান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

একটা তড়িৎ ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে জলের মধ্যে দিয়ে কীভাবে সঞ্চারিত হয় প্রোটন কণা? ১৮০৬ সালে থিওডোর গ্রোথাস একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ওনার প্রস্তাব ছিল ‘জাম্পিং প্রোটন’ বা জলের মধ্যে প্রোটন কণার লাফ দেওয়ার প্রবণতা। জলের মধ্যে তড়িতাহিত কণার গতিবিধি নিয়ে গ্রোথাস সাহেবের এই তত্ত্ব তাঁর সময়ের তুলনায় অনেকটাই আধুনিক ছিল। কিন্তু বিজ্ঞান তাতে তৃপ্ত থাকেনি মোটেই।
বিংশ শতকের বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রোথাসের ধারণা ভুল না হলেও একেবারে আণবিক স্তরে ঠিক কী ঘটছে সেটার ব্যাখ্যা দিতে ঐ তত্ত্ব ব্যর্থ। ইসরায়েলের নাজেভে বেন-গুরিওন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ এহুদ পাইন্স বলছেন, রসায়নের জগতে জলের ভেতর প্রোটনের ভাবগতিক একটা প্রাথমিক রহস্য বটে।
নতুন গবেষণার মাহাত্ম্য তাহলে কোথায়? গবেষকরা তাত্ত্বিক উপায়ের সাথেই হাতেকলমে পরীক্ষার উপর অনেক বেশি জোর দিয়েছেন। এক্সরে অ্যাবসর্পশান স্পেক্ট্রোস্কোপি পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে, জলের মধ্যে একক অক্সিজেন পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন কণাকে কীভাবে প্রোটন আধান প্রভাবিত করতে পারে। তিন অণুবিশিষ্ট জলের অণুর জোট তৈরি হয়। প্রোটনের প্রভাব তাদের উপরেই বেশি পড়ে। জলের তিনটে অণুর সাথে খুব সহজেই প্রোটন কণা জোট বাঁধতে পারে, এমনটাই সন্ধান পেলেন গবেষকরা।
অ্যাঙ্গওয়ান্ডটে কেমি পত্রিকার আন্তর্জাতিক সংস্করণে প্রকাশ পেল গবেষণাপত্রটা।