বিশ্ব জুড়ে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ধুলো। ধুলোর বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই চলছে। ৩০০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে, পৃথিবীর মত মঙ্গলেও এক উপগ্রহকেও একইরকমভাবে প্রবল ধুলোঝড়ে আক্রান্ত হতে হল। মঙ্গলে পাঠানো নাসার উপগ্রহ ইনসাইডার গত ৭ জানুয়ারির ধুলোঝড়ে শুধু বিপর্যস্তই হয়নি, মৃতপ্রায় অবস্থা হয়েছিল তার! প্রবল ধুলোঝড়ে ইনসাইডারের সৌর প্যানেলগুলি পুরো ঢেকে গিয়েছিল। সৌর প্যানেলেই ইনসাইডারের নড়াচড়া। শুধু তাই নয় ধুলোঝড়ে ব্যাটারিগুলিও নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে কোনওরকমে ইনসাইডারকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন তার ইঞ্জিনিয়াররা। ধুলোঝড়ের ছবি প্রথম দেখতে পেয়েছিল ইনসাইডারে লাগানো মঙ্গলের ছবি তোলার অত্যাধুনিক ক্যামেরা। কিন্তু ততক্ষণে গ্রহের ওপর ঘন হয়ে ধুলো জমতে শুরু করেছে। ঝড় চলেছিল প্রায় ১০ দিন ধরে। বিপর্যস্ত নাসার উপগ্রহ সেই প্রবল ঝড়ে উটের মত নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। ১০ দিন পর ঝড়ে থামে। তারপর ইঞ্জিনিয়ারদের পরিশ্রমে ইনসাইডাইরারের প্রাণ ফেরে। ১৫ দিন পর তার যন্ত্রপাতি আবার কাজ করতে শুরু করে। এর আগে, ২০২১-এ-ও এরকম ধুলোঝড় হয়েছিল মঙ্গলে।