মধ্য এশিয়া জুড়ে কৃষির সংকট চলবেই, চিন্তায় গবেষকরা

মধ্য এশিয়া জুড়ে কৃষির সংকট চলবেই, চিন্তায় গবেষকরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

গোটা মধ্য এশিয়া ২০২১ সালে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক খরার সম্মুখীন হয়েছিল। শুধু ফসল নয়, গবাদি পশুর মৃত্যু মিছিল দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। তাতে খাবারদাবারের দাম সাত আটটা দেশে আকাশ ছুঁয়েছিল।
গবেষকরা থেমে থাকেননি। সেই দুর্বিষহ খরা যে অকস্মাৎ কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো নয় সেটা তাঁরা প্রমাণ করলেন অবশেষে। তাঁদের কথায়, এই শুকনো পরিস্থিতির সূত্রপাত নব্বইয়ের দশক থেকেই। সেটাই চরম আকার ধারন করেছে ইদানীং। শুধু তা’ই নয়, অদূর ভবিষ্যতে যে এই খরা পরিস্থিতি কেটে যাবে এমন কোনও আশার কথা শোনাতে তাঁরা রাজি নন। ক্রমেই বিষয়টা মধ্য এশিয়ার জনগণ আর বিজ্ঞানীদের জন্য হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের অন্তর্গত ইন্সটিটিউট অফ অ্যাটমোস্ফেরিক ফিজিক্সের দুই বিজ্ঞানী ডঃ জিয়াং জি এবং অধ্যাপক ঝাও তিয়াঞ্জুন প্রায় ৪৫ বছরের আবহাওয়া, চাষের ক্ষেত্রে জলের ব্যবহার, ফসলের প্রকৃতি আর ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ খুঁটিয়ে দেখেছেন। আগামী বছরগুলোতে কী হতে চলেছে তা নিয়েও ঐ দুই গবেষক উল্লেখ করেছেন তাঁদের গবেষণাপত্রে। মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ১৯৯২ সালের ‘ইন্টারডেকাডেল প্যাসিফিক অসিলেশন’। মাটির আর্দ্রতা অনেকটাই কমেছে অপরিকল্পিত কৃষিপদ্ধতি এবং নগরায়নের জন্যে। এছাড়াও শিল্পক্ষেত্রের দূষণ একটা বড়ো কারণ।
নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে গত ১২ই জানুয়ারি প্রকাশিত হল এই গবেষণার খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + three =