এডওয়ার্ড ও উইলসন। হার্ভার্ডের এই ৯২ বছর বয়সী পরিবেশবিদকে বলা হয় আধুনিক যুগের ‘ডারউইন’। তিনিও হতাশ হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর মানুষ চায় না, পরিবেশ, বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী, উদ্ভিদ বেঁচে থাকুক! ২১ শতকের ‘ডারউইন’ সম্প্রতি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পৃথিবীর সমস্ত দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে। সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ যদি একমত না হন তাহলে মানবসভ্যতার ঢল অবক্ষয়ের পথেই যাবে। প্রাণী ও উদ্ভিদ মিলিয়ে আজ পৃথিবী জুড়ে ১ মিলিয়নের বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে! সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশ, প্রত্যেকটি দেশকে তাদের স্থল ও জলের অন্তত ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে পরিবেশের জন্য। উইলসন বলছেন “কোথায় কী! মানুষের স্বভাব বদলায়নি! আমাদের স্বভাবের প্রবণতাই হল অধিকাংশ অন্য প্রাণীর বাঁচা, মরা নিয়ে উদাসীন থাকা।”
পিঁপড়ে নিয়ে উইলসনের কাজ জগৎজোড়া খ্যাতি পেয়েছে। ১৯৯০-এ প্রকাশিত হয়েছিল তার বিখ্যাত বই দ্য অ্যান্টস। বার্ট হলডবলারের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা এই বই ৭০০ পাতার। বইয়ের ওজন ৩ কেজি! পিঁপড়ের দৈনন্দিন জীবন, বিপদের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করা, তাদের খাওয়া-দাওয়া-উইলসন এই অণ্বেষণে পাপুয়া নিউ গিনির সারাওয়াজেড রেঞ্জের জঙ্গলে চলে গিয়েছিলেন। উঠেছিলেন ১৩ হজার ফুট!
আজ ৯২ বছরের এই পরিবেশবিদ থাকেন বোস্টনে। চারদিকে মানবসভ্যতার সৃষ্টি করা ধ্বংসলীলার মধ্যেও by আশাবাদী উইলসন। বলেছেন,”মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবে। পৃথিবীর বায়োলজিকাল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সে নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে বাতাসের দূষণ কমানোর।”