মানুষের দানে অদৃশ্য তিন ঋতু!

মানুষের দানে অদৃশ্য তিন ঋতু!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ এপ্রিল, ২০২২

চন্দ্রশেখর আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও প্রযুক্তি বিভাগের গবেষকদের সাম্প্রতিকতম পর্যবেক্ষণ, প্রকৃতির তিনটি ঋতু অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে অবাধে অরণ্যনিধন, সীমাহীন খননকার্য, গাড়ির সংখ্যা মাত্রারিক্তভাবে বেড়ে যাওয়া ও তার দূষণ এবং এয়ার কন্ডিশনারের অতিরিক্ত ব্যবহার। গবেষকরা জানিয়েছেন, বসন্ত, শরৎ এবং হেমন্ত-এই তিন ঋতুর অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পেছনে কারণ তাপমাত্রার অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া এবং মানুষের এই কার্যকলাপেই যে তাপমাত্রা বাড়ছে সেটাও সর্বজনবিদিত। আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনীল পান্ডে জানিয়েছেন, তিন ঋতুই আগে অন্তত দু’মাস করে থাকত। আগে মানে দু’দশক আগে। পান্ডের পর্যবেক্ষণে, এখন এই তিন ঋতুর স্থায়িত্ব এক সপ্তাহের বেশি নয়। পান্ডের বিশ্লেষণ, “দু’দশক আগেও ভারতের যে কোনও শহরে ‘গ্রিন-কভার’ ছিল ৩.৫%। সেটা দু’দশকে ১.৫%-এ নেমে এসেছে। এই ২০ বছরে গাড়ি চলাচলের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে অন্তত ৬ গুণ। সেই কারণে শুধু বিশ্ব উষ্ণায়ন নয়, স্থানীয় কারণগুলোর জন্যও আবহাওয়ার দূষণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। আর সেটাই ঋতু বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।”
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আগে বসন্তের আবির্ভাব হত ফেব্রুয়ারি নাগাদ। সে থাকত এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময় তাপমাত্রা থাকত ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এখন সেই তাপমাত্রাটা গড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে ২.৫ ডিগ্রি! তাই বসন্তকালও বড়জোর এক সপ্তাহ থেকে বিদায় নেয়। মানুষ বুঝতেই পারে না কখন সে এল আর কখন সে গেল!