মৃত্যু উপত্যকা

মৃত্যু উপত্যকা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২২ আগষ্ট, ২০২১

১৯৪৫ এর ১৪ জানুয়ারি। হিটলারের নাৎসি বাহিনী গ্রেফতার করেছিল ইরিনা নামের মেয়েটিকে। কে ছিল সে? পোলিশ ‘হোম আর্মি’র মহিলা সেনার সদস্যা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীকে ভীষণ বেগ দিয়েছিল এই হোম আর্মি। যে কারণে ১৪ জানুয়ারি ইরিনার সঙ্গে হোম আর্মির বহু যোদ্ধাকে গ্রেফতার করে নাৎসি বাহিনী উত্তর পোল্যান্ডের জঙ্গলে। ২৬ বছরের ইরিনাকে তখন চার বছরের ছেলেকে ফেলে রেখেই যেতে হয়েছিল জঙ্গলে। আর ফেরেনি ইরিনা। অমানুষিক অত্যাচারের পর গুলি করে মেরে ইরিনা সহ হোম আর্মির সমস্ত সৈনিকের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাস জানাচ্ছে, জঙ্গলে সেই আগুন জ্বলেছিল তিন দিন, তিন রাত ধরে! তারপর সেই অঞ্চলটা বড় বড় গর্তে রুপান্তরিত হয়ে যায়। একদিন সেই গর্তগুলোও বুঁজে যায়। জীবন্ত ইতিহাসও চাপা পড়ে যায় মাটির নিচে। ৭৫ বছর পর প্রত্নতাত্বিক অনুসন্ধানে সম্প্রতি সেই মৃত্যু উপত্যকা আবার উদ্ধার করা হল। প্রত্নতাত্বিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, আগুনে ঝলসে যাওয়া ইরিনাদের দেহগুলোকে নাৎসি বাহিনী শেষপর্যন্ত কবর দিয়েছিল। না হলে এখন, মৃত্যু উপত্যকা খুঁড়ে গয়না, কানের দুল, শরীরের অগ্নিদগ্ধ হাড় পাওয়া যেত না। অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ১৯৪৫-এর ১৪ জানুয়ারি হোম আর্মির অন্তত ৫০০ সৈনিককে মারা হয়েছিল। সবাইকে কবর থেকে উদ্ধার করা যায়নি। মৃত্যু উপত্যকার কথা পোল্যান্ড কোনওদিন ভুলবে না!

ছবি সৌজন্যে – এফআরট্যু নিউজ