রাউটল্যাণ্ড ওয়াটার নেচার রসার্ভের কর্মী জো ডেভিস প্রথমে ভেবেছলেন বোঢ হয় কোনো ডাইনোসরের ফসিল পেয়েছেন। ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে রাউটল্যাণ্ডে ল্যাণ্ডস্কেপিং এর কাজের সময় প্রথম ডেভিস লক্ষ করেন অদ্ভুত দর্শন কোনো প্রানীর দেহাংশ বেরিয়ে আসছে। কিন্তু এটি ডাইনোসর নয়। এটি একধরনের সামুদ্রিক প্রাণী – যাদের বলা হয় ইচথোসর। প্রায় ১০ মিটার লম্বা প্রাণী দেহ দেখা যায় শেষ অব্দি। উষ্ণ রক্তের এই প্রানী অন্তত আড়াই কোটি থেকে ৯০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে বসবাস করতো। উল্লেখ্য সামুদ্রিক প্রাণী হলেও এরা বাতাসে শ্বাস নিত। এবং আকারে ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারতো।
ডেভিস কাউন্টি কাউন্সিলে ফোন করেন প্রথমে এবং তার ডাইনোসর সন্দেহের কথা জানান। কাউন্সিল তখন ডেভিস কে জানায়, রাউটল্যান্ড কাউন্টি কাউন্সিলে ডাইনোসর ডিপার্টমেন্ট নেই। এরপর কাউন্সিলের উদ্যোগে একদল জীবাশ্মবিদ এসে রিসার্ভারে ল্যাণ্ডস্কেপিং এর স্থানে জীবদেহটি দেখে নিশ্চিত করেন এটি ডাইনোসর নয় ইচথোসর। ২ কোটি বছর আগে রাউটল্যাণ্ড সমুদ্রেরই অংশ ছিল। যদিও এখন রাউটল্যান্ড থেকে সমুদ্র উপকুল প্রায় ৩০ মাইল দূরে। ফলে বোঝা যায় সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ কীভাবে রাউটল্যাণ্ডে পাওয়া গেল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটির জীবাশ্মবিদ ডিন লোমাক্স বলেছেন, ব্রিটিশ জীবাশ্মবিদ্যার ইতিহাসে এ এক মহৎ আবিষ্কার।