রাতে দেরি করে খাওয়া মোটেই ভালো না

রাতে দেরি করে খাওয়া মোটেই ভালো না

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ওজন কমাতে যারা চায়, তারা সাধারণ একটা উপদেশ পেয়েই থাকে – মাঝরাতে উঠে মুখরোচক খাবার খাওয়া বন্ধ করা। ইতিমধ্যেই একগাদা গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে শরীরের স্থূলত্ব আর রাতে দেরি করে খাওয়ার মধ্যে স্পষ্ট যোগাযোগ আছে। কিন্তু নিখুঁত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এতদিন কোনও গবেষণাই এটা প্রমাণ করতে পারেনি কেন অতিরিক্ত দৈহিক ওজনের কারণ হতে পারে রাতের খাদ্যাভ্যাস।
দ্বিধার অবসান ঘটালেন অ্যামেরিকার একদল গবেষক। অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য রোয়েট ইন্সটিটিউটের পুষ্টিবিজ্ঞানী অ্যালেক্স জন্সটোন ও তাঁর সহকর্মীরা সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন কিছু স্বেচ্ছাসেবক। তাদের প্রথমে দুটো আলাদা দলে ভাগ করে একটা সমান খাদ্যতালিকা তৈরি করে পৃথক নিয়মে রোজকার খাওয়াদাওয়া করতে বলা হয়।
প্রথম প্রোটোকলে ঘুম থেকে ওঠার পর সারাদিনের খাবার আগেভাগেই খেতে বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, প্রাতরাশ; তারপর দুপুরের খাবার, সন্ধ্যের খাবার এবং ঘুমের সাড়ে ছ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার। দ্বিতীয় প্রোটোকলে খাওয়ার সময়টাকে চার ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, সকালের খাবার না খেয়ে একবারে দুপুরে খেয়েছে তারা। তারপর সন্ধ্যের খাবার আর ঘুমের আড়াই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার।
কীভাবে দেরিতে খাওয়া শরীরের উপর প্রভাব ফেলে সেটা বুঝতে গবেষকরা মূলত তিনটে বিষয়ের উপর জোর দিয়েছিলেন – এক, খিদে পাওয়ার প্রবণতা; দুই, ক্যালোরি কতখানি ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে আর তিন, স্নেহকলায় আণবিক পরিবর্তন কেমন ঘটছে।
দেখা গেছে তুলনামূলকভাবে যারা দেরিতে খাদ্যগ্রহণ করেছে তাদের বারবার খিদে পাওয়ার ধাত বেশি। খিদে পাওয়ার জন্যে দায়ী হরমোনের অনুপাতও তাদের রক্তে অনেকটাই বেশি। দ্বিতীয় প্রোটোকলের স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ক্যালোরি পুড়েছে কম পরিমাণে। তাদের স্নেহকলার বায়োপ্সি করে দেখা গেছে শরীরে স্নেহপদার্থ সঞ্চয়ের প্রবণতা ঐ কলাকোষে মাত্রায় অধিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 12 =