রেল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তিস্তা নদীর গতিপথ বদল

রেল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তিস্তা নদীর গতিপথ বদল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ মে, ২০২২

তিস্তা ও নন্দীখোলার মিলনস্থল বন্ধ করে, তিস্তার গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে সেবকে নদীর চরে বসানো হয়েছে পাথর ভাঙার কল। নন্দীখোলার ওপর তৈরি হচ্ছে কালভার্ট ও কংক্রিটের সেতু। যাতে বালি পাথর ভরে নিয়ে ডাম্পার গাড়ি যেতে পারে। সেবক রেলসেতুর কাছে তিস্তা ও নন্দীখোলা নদীর মিলনস্থল। সেই সেতুর দুটি পিলারের চারপাশ থেকে বালি পাথর সরানোর কাজ শুরু করেছে পূর্ব রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন। আর একাজেই আর্থমুভার দিয়ে তিস্তা থেকে মাটি পাথর তুলে ডাম্পার গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে দুই নদীর মিলনস্থলে। আবার সেবক- রংপো রেলপ্রকল্পে পাহাড় কেটে যে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে, তার সুড়ঙ্গ কাটা পাথর ফেলা হচ্ছে তিস্তা- নন্দীখোলার মিলনস্থলে। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে দুই নদীর মিলনস্থল। তারসাথে ঘুরে গেছে তিস্তার বাঁক। এত সব কিছুর পরেও রাজ্য প্রশাসন, সেচ, ভূমি দপ্তর, জিটিএ কোনো দপ্তরের কর্তারাই কিছু জানেন না। বরং তারা জানিয়েছেন নদীর গতিপথ বদলের অনুমতি তারা দেন নি। এবং অভিযোগের আঙুল মূলত রেলমন্ত্রকের দিকে। রেলমন্ত্রক খেয়াল খুশি মতো কাজ করছে। তবে কার্সিয়াংয়ের মহাকুমা শাসক এজাজ আহমেদ তদন্তকারী দল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু পরিবেশপ্রেমী সংস্থা গুলি ঘটনার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউণ্ডেশানের কোওর্ডিনেটর অনিমেষ বসু। তবে তদন্ত ইত্যাদি প্রশাসনিক কাজের পরেও গোটা ঘটনা সামগ্রিক ভাবে পরিবেশের প্রতি প্রশাসনের নক্কারজনক দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিচয় দেয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রধান রঞ্জন রায় বলেন, ঘটনার জেরে ঐ অঞ্চলে ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিস্তার মতো নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার অর্থ যেচে বিপদ ডেকে আনা।