লাল গ্রহে এবার পপকর্নের মতো শিলা দেখতে পেল রোভার

লাল গ্রহে এবার পপকর্নের মতো শিলা দেখতে পেল রোভার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ জুন, ২০২৪

নাসার রোবট-যান পারসিভের‌্যান্স রোভার মঙ্গল গ্রহে মাউন্ট ওয়াশবার্নকে পিছনে ফেলে তার পরবর্তী গন্তব্য ব্রাইট অ্যাঞ্জেল-এ পৌঁছে গেছে। সেখানে একটি অস্বাভাবিক ধরনের শিলা সে খুঁজে পেয়েছে যেটিকে বিজ্ঞানীরা ‘পপকর্ন রক’ বলে নামাঙ্কিত করেছেন। অদ্ভুত এই শিলাটি আরও প্রমাণ করে যে কোনো এক সময়ে জেজেরো গহ্বরে জল ছিল। কোনও কালে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না জানতে, মঙ্গলের মাটি ছোঁয় ‘পারসিভের‌্যান্স’। পরবর্তী কালে সেখানকার মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে পাথর, জীবাশ্ম এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ২০৩০ নাগাদ পৃথিবীতে পাঠানোই কাজ এই রোভারটির। গবেষণাগারে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন বিজ্ঞানীরা। জানাবেন, লালগ্রহে আদৌ জীবনের অস্তিত্ব ছিল কিনা।
জেজেরো ক্রেটারকে এক প্রাচীন হ্রদ বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা যেখানে পলি এবং অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বর্তমানে পারসিভের‌্যান্স ব্রাইট অ্যাঞ্জেল-এ পৌঁছেছে। এই স্থানটিতে মঙ্গলপৃষ্ঠে হালকা রঙের পাথর দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এগুলো প্রাচীন পলল অথবা নদীর তলদেশে থাকা পুরানো শিলা। পারসিভের‌্যান্স-এর নতুন গন্তব্যের যাত্রাপথ খুব সহজ ছিল না। রোভারটি বড়ো বড়ো পাথুরে জমির সম্মুখীন হয়েছিল যার কারণে রোভারের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই পাথুরে পথ অতিক্রম করার সময় রোভারকে পুরো থেমে যেতে হয়। ফলত ব্রাইট অ্যাঞ্জেলের যাত্রাপথ আরও দীর্ঘায়িত হয়। মিশনের কর্মীরা দূর থেকে হালকা রঙের শিলা দেখতে পায়। কিছু শিলা ঘনভাবে গোলকের মতো গঠন দিয়ে পরিপূর্ণ, তাই বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছে ‘পপকর্ন শিলা’। শিলাগুলোতে খনিজ শিরার মতো গঠন রয়েছে। এই খনিজ শিরা তখনই দেখতে পাওয়া যায় যখন জল পাথরের মধ্য দিয়ে খনিজ পরিবহন করে এবং জমা করে। এই ধরনের খনিজ শিরা জলের উপস্থিতিতে দেখতে পাওয়া যায় এবং রোভার মঙ্গল গ্রহের অন্যত্র এই ধরনের গঠন দেখেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা পপকর্নের মতো এই বৈশিষ্ট্য জলের উপস্থিতি প্রমাণ করে। প্রমাণ করে যে এই শিলাগুলোর মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 14 =