ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক সংস্থার অধীনে থাকা স্পেস প্রেডিকশন সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে কাল, মানে শনিবার সুর্য নিসৃত একটি ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বায়ুমন্ডলে সৃষ্টি করেছে এক ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের। আগামী দু’দিন ধরে সেই ঝড় সুর্য আর পৃথিবীর বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যাবে এবং পৃথিবীর সঙ্গে তার সংঘর্ষের প্রবল সভাবনা কাল মানে শনিবার!
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সুর্য নিসৃত করোনাল মাস ইজেকশন থেকে সৃষ্টি হয়েছে এক ঘন ও প্রকান্ড অগ্নিবলয়ের শিখা। যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন এক্স-১ শিখা। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, সুর্যের পৃষ্ঠে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। তার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই করোনাল মাস ইজেকশনের এবং এক্স-১ অগ্নিশিখার। স্পেস ওয়েদার ওয়েবসাইটের দেওয়া খবর অনুযায়ী, এক্স-১ অগ্নিশিখার অভিমুখ সরাসরি পৃথিবীর দিকে! করোনার ইজেকশন প্রতি সেকেন্ডে ১২৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে!
ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় কী? জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর যে চুম্বকমণ্ডল রয়েছে সেখানে সুর্য নিসৃত তাপ ও হাওয়ার প্রবেশ এবং বড় রকমের অস্থিরতার সৃষ্টি হওয়া। অস্থিরতা মানে, মহাকাশে পৃথিবীর যে পাশ্ববর্তী অঞ্চল রয়েছে সেখানকার তাপমাত্রা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে সুর্যের সৃষ্ট এই ঝড়! ৩১ অক্টোবর গ্লাসগোয় মানুষ আলোচনায় বসবে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে কীভাবে কমানো যায় সেই নিয়ে। শনিবার যদি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে তাহলে পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে যাবে তখন!