শরীর থেকে পরজীবী তাড়াতে পারে স্নেহকোষ, ইঁদুরের উপর সফল পরীক্ষা

শরীর থেকে পরজীবী তাড়াতে পারে স্নেহকোষ, ইঁদুরের উপর সফল পরীক্ষা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

পরজীবীদের জব্দ করতে আশ্চর্যজনক ভূমিকা পালন করে শরীরের স্নেহকোষ (ফ্যাট সেলস)। সম্প্রতি সায়েন্স পত্রিকার ইমিউনলজি বিভাগে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এমনটাই। খাদ্যনালীর সংক্রমণ ঘটানো পরজীবীদের তাড়াতে ইঁদুরের অন্ত্রে স্নেহকলার গুরুত্ব বুঝতে পারলেন গবেষকরা।
অন্ত্রের নালীপথে মেশেনটেরিক অ্যাডিপোস কলা। এই স্নেহকলার স্তর জীবাণু বা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধের একটা দরকারি অংশ। কিন্তু পরজীবীদের আক্রমণ মোকাবিলা করতেও যে স্নেহকোষের ভূমিকা আছে সেটা বিজ্ঞানীদের এতদিন জানা ছিল না। জনস হপকিন্স মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটের এডওয়ার্ড পিয়ার্স ও তাঁর সহকর্মীরা খুঁজে বের করলেন সেটাই।
ইঁদুরের মডেল ব্যবহার করে পিয়ার্স ও তাঁর দল পরীক্ষা করছিলেন কীভাবে পরজীবীর আক্রমনের বিরুদ্ধে দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। নিয়মমাফিক অটোপ্সি চলাকালীন দলেরই এক পশুচিকিৎসক আবিষ্কার করেন ইঁদুরের মেসেনটেরিক অ্যাডিপোস কলা সংক্রমণের প্রভাবে কিছুটা শক্ত হয়ে গেছে। পরজীবীটা ছিল হেলমিন্থ। এরা মূলত খাদ্যনালীতে আক্রমণ করে পোষকের দেহ থেকে খাদ্যরস শোষণ করে।
স্নেহকলা কেন শক্ত হয়ে উঠল সেটা নিয়ে আরও নিবিড় গবেষণা শুরু করেন পিয়ার্স ও তাঁর সহকারীরা। এতেই দুটো পৃথক কোষের মধ্যে নতুন এক যোগসূত্র তাঁরা আবিষ্কার করে ফেলেন। একপ্রকার টি কোষ হল Th2 কোষ। আর স্নেহকলায় উপস্থিত থাকে স্ট্রমাল কোষ। Th2 আর স্ট্রমাল কোষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের দ্বারাই পরজীবীর আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে ইঁদুরের পক্ষে।
এবার পিয়ার্সের দল তাকিয়ে আছেন একই পরীক্ষা মানুষের দেহে কোন ফলাফল তৈরি করতে পারে সেই দিকে।