সাধের চকলেটের মাশুল দিচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার বনাঞ্চল

সাধের চকলেটের মাশুল দিচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার বনাঞ্চল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ মে, ২০২৩

আপনি আমি মনের সুখে চকলেট খাচ্ছি। আর ওদিকে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে অরণ্য। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর গবেষণার খবর সামনে এসেছে। গবেষকরা পশ্চিম আফ্রিকার কোকোয়া ফার্মগুলোর হালহকিকত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। আইভরি কোস্ট আর ঘানা এই দুটো দেশে সরকারি হিসেবের চেয়ে ৪০% বেশি জমি ব্যবহার করা হচ্ছে কোকোয়া উৎপাদনের জন্য। আর এই কারণেই বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে লাগামছাড়া হারে।
আইভরি কোস্ট আর ঘানা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কোকোয়া উৎপাদন করে। গোটা বিশ্বের তিনভাগের দুইভাগ কোকোয়া এই দুটো দেশেই উৎপাদিত হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোন অঞ্চলে কোকোয়া গাছের সঠিক সংখ্যাটা কত সেটা মোটেই জানা যায় না।
সম্প্রতি কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল কৃষিগবেষক চকলেটের এই অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে কাজ করেছেন। অন্যতম মুখ্য গবেষক ছিলেন অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের ডঃ উইলমা ব্লাসের-হার্ট। তিনি অস্ট্রেলিয়ার কসমস সায়েন্স পত্রিকাকে জানালেন, ঠিক কোথায় কোথায় কোকোয়া উৎপাদিত হয় তার একটা বিশদ ম্যাপ এই প্রথম বানানো হল। পশ্চিম আফ্রিকার অরণ্যছেদনের সাথে এর স্পষ্ট সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে।
নেচার পত্রিকার ‘ফুড’ নামক বিভাগে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিতর্কিত গবেষণা প্রকাশিত হল। যদিও আগে থেকেই এমন একটা আশঙ্কা ছিল, তবে কেবলই আন্দাজ হিসেবে। এখন দেখা যাচ্ছে, ওই দুই দেশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল নষ্ট করেও কোকোয়া চাষ করা হয়।