প্যাঁক প্যাঁক করতে করতে জলাশয়ে নেমে পড়ে হাঁস। তারপর মা হাঁসের পেছনে সারি বেঁধে চলে বাচ্ছা হাঁসগুলি। এক সরলরেখায় চলা ভারি দৃষ্টিনন্দন। বাঁক নিলেও যেন বৃত্তের রেখা কেটে যায়, লাইন কিছুতেই বক্র হবে না। কেন হয় এমন জানেন? বাচ্ছা হাঁসেদের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়ার পরিমাপ থেকে আগেই জানা ছিল মা হাঁসের পেছনে চলার কারণে বাচ্ছা হাঁসের শক্তি ক্ষয় কম হয়। কিন্তু এই শক্তি কম ক্ষয়ের বিজ্ঞানটা কী? একা একা বাচ্ছা হাঁস সাঁতার কাটার সময় জলে নিজেই পা দিয়ে কিক করে ও এগিয়ে যায়, এতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন। তাছাড়াও জলের তরঙ্গ এবং ঘনত্ব প্রতিমূহুর্তে বাচ্ছা হাঁসটির গতি পেছনের দিকে টানতে থাকে। কিন্তু যখন সামনে মা হাঁস থাকে তখন কিক মা করে এবং বাচ্ছা হাঁস এতে ১৫৮% জলতরঙ্গ বা ঘনত্ব জনিত বাধা কম পায়। ফলে শক্তিক্ষয় হয় অনেক কম। আর তাতেই বুঝদার সহোদরের মতো একসাথে মায়ের পেছনে পেছনে চলে হাঁসের বাচ্ছারা। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো প্রদেশের স্ট্র্যাথক্লাইড ইউনিভার্সিটির জলযান নক্সাকারী ঝিমিং ইউয়ান এবং তাঁর সহকারীরা মিলে হিসেব করে বের করেছেন এই অঙ্ক। জার্নাল অফ ফ্লুইড মেকানিক্স এ প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্ট।