সুন্দরবন অঞ্চলের এক বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুড় বাস্কা। সম্প্রতি এই প্রজাতির প্রজনন বাড়াতে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে ছাড়া হয়েছে ১২টি পূর্ণবয়স্ক এবং ৩৭০টি এই প্রজাতির শিশু কচ্ছপ। এতদিন তাদের সজনেখালি ম্যানগ্রোভ ইন্টারপ্রেটর সেন্টার সহ বিভিন্ন ক্যাম্প অফিসের বিশেষ পুকুরে লালন পালন করা হচ্ছিল। কচ্ছপগুলি যাতে প্রিকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে তার জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল পুকুরগুলি। পুকুরগুলিতে জোয়ার, ভাটার জল ঢোকানো হত। কয়েক বছর ধরে সেই বিশেষ পুকুরে রাখার পর কচ্ছপগুলিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাটাগুড় বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ কীভাবে বেড়ে ওঠে, কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে, তাদের সহায়ক পরিবেশ কী হওয়া উচিত, এমনকী কবে এবং কোন প্রতিকূলতায় তারা মারা যেতে পারে-সমস্ত কিছু সম্পর্কে খুঁটিয়ে জানার জন্য ভারতে প্রথমবার ব্যবহৃত হল মার্কিন প্রযুক্তি। প্রত্যেকটি কচ্ছপের শরীরে বসানো হল জিপিএস ট্র্যাকার। আগামী দু’বছর ধরে এই মেশিন কাজ করবে, বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানাবে পর্যবেক্ষকদের।
সুন্দরবনে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা গত ৯ বছর ধরে বিরল প্রজাতির এই কচ্ছপের প্রজনন করিয়েছেন। মৎস্যজীবীদের জালে এবং কিছু চোরাকারবারিদের সৌজন্যে এই কচ্ছপ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল।