আত্মগরিমা প্রচারে শক্তি প্রদর্শনের কুৎসিত খেলা নতুন নয় পৃথিবীতে। যে শক্তি জীবনের অপকারেই ব্যবহৃত, সে শক্তি প্রদর্শনকারীরা হয়তো জানেই না মহাজগতে এমন কোনো শক্তি আছে যার কাছে তাদের ঐ আস্ফালন ধুলোবালি মাত্র।
যেমন নিচের ছবিটি। একটি অতিবৃহৎ ব্ল্যাকহোলের। কোনো এক ছায়াপথের কেন্দ্রে যার অবস্থান। যার ভর প্রায় ১০ লক্ষ সূর্যের সমান। মাত্র এক বছরে দশবার আমাদের সূর্যকে (সূর্যের সমান ভর) গিলে ফেলতে পারে ঐ ব্ল্যাকহোল।
বিশ্বব্রম্ভাণ্ডের গ্যাস প্রবাহ ঠিক কীভাবে যে ব্ল্যাকহোলকে পুষ্ট করে – তা ছিল দীর্ঘদিনের অজ্ঞাত প্রশ্ন। এই রহস্যের সন্ধান মিলেছে ‘নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র উদ্যোগে শুরু হওয়া গবেষণায়, গত ১৭ই আগস্ট ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে।
ওই অজানা প্রশ্নের সমাধানে গবেষকরা বানিয়ে ফেলেছেন একটি স্টিমুলেশান। স্টিমুলেশানের মাধ্যমেই জানা যাচ্ছে, ছায়াপথের গঠন। কোয়েসার ছায়াপথের ঊজ্জল অংশ। কোয়েসারের দীপ্তির উজ্জ্বলতাতেই জানা যাচ্ছে ছায়াপথের প্যাঁচালো বাহুগুলিই মহাকর্ষীয় বল ব্যবহার করে গ্যাসকে ব্ল্যাকহোলের গহ্বরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গবেষণা দলের এক সদস্য অ্যাঞ্জাল অ্যালকেজার জানাচ্ছেন, সুপারনভের মতো কিছু শক্তিশালী উপাদান বিপুল পরিমাণ শক্তি ছায়াপথে যুক্ত করে ছায়াপথকে প্রসারিত করে। নতুন স্টিমুলেশান মডেল ছায়াপথের সমগ্র অংশের আরো নতুন নতুন তথ্য দেবে বলে আশাবাদী অ্যালেকজার।
অতিবৃহৎ ব্ল্যাকহোলগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে কোনো সর্বসম্মত ধারণা নেই। জানা নেই কিভাবে অতি ক্ষুদ্র স্থানের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ভর অবস্থান করে। নতুন স্টিমুলেশানে এ সম্পর্কে জানা যাবে বলে গবেষকেরা আশাবাদী। আশাবাদী যে, অতিবৃহৎ ব্ল্যাকহোলগুলোর সৃষ্টি রহস্যও জানা যাবে হয়তো।