স্কুল, অফিসে ‘সৌরবিদ্যুতের’ ব্যবহার চাইছে রাজ্য

স্কুল, অফিসে ‘সৌরবিদ্যুতের’ ব্যবহার চাইছে রাজ্য

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ৫ জুলাই, ২০২২

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ! তার একটি প্রতিফলন, বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে রাজ্য নজর দিয়েছে স্কুল আর অফিসগুলিতে ‘সৌরবিদ্যুৎ’ ব্যবহার বাড়াতে! রাজ্যের সিদ্ধান্ত, আরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিসকে সৌরবিদ্যুৎ পরিকাঠামোর আওতায় আনা হবে। সব জেলাকে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের যুক্তি, যত বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসে এমন পরিকাঠামো তৈরি করা যাবে, ততই বাঁচানো যাবে বিদ্যুতের খরচ। রাশ টানা যাবে পরিবেশ দূষণেও। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, সৌর বিদ্যুতের পরিকাঠামো সাধারণ গ্রাহকদের কাছেও সহজলভ্য করা গেলে তবেই সুদূরপ্রসারী সুফল মিলবে।
সরকার জেলাগুলিকে জানিয়েছে, ২০১১ থেকে এ-পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সরকারি অফিস মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার ভবনে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত। নবান্ন মনে করছে, আরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসকে এর আওতায় আনা জরুরি। তার মূল কারণ চারটি। ১) বিদ্যুৎ বিলের বোঝা কমানো। ২) কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে দূষণ ঠেকানো। ৩) জল সংরক্ষণ। ৪) পরিবেশ রক্ষায় সৌরশক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকদের সচেতন করা। তাই ‘১০০০ স্কুল’ পরিকল্পনার আওতায় ২৩টি জেলার স্কুলগুলিকে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ১০ কিলোওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। জেলাকে সরকারি অফিসের তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ সরকারি তহবিল থেকেই হয়ে থাকে। বছরে ১০০-২০০টি স্কুলে এই পরিকাঠামো তৈরির কথা আছে।”