স্বাদুজলের লভ্যতা বাড়াতে কোথায় বৃক্ষরোপণ করতে হবে?

স্বাদুজলের লভ্যতা বাড়াতে কোথায় বৃক্ষরোপণ করতে হবে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২ মার্চ, ২০২৩

জঙ্গল কেটে সাফ করা আর জঙ্গল প্রতিষ্ঠা করা – এই যুগল কর্মকাণ্ডের প্রভাবে গত দু দশকে নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে পৃথিবীর সবুজ আবরণের বণ্টন। স্বাদুজলের বিভিন্ন উৎসের উপর ছাপ ফেলেছে এই পরিবর্তন।
এই বিষয়ে নতুন এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট হিসেবে স্বাদুজলের পরিমাণ বেড়েছে সারা পৃথিবীতে। কিন্তু এলাকাভিত্তিক রিপোর্ট বেশ উদ্বেগের।
অরণ্যায়নের প্রকল্প কখনই সচেতনভাবে ভেবে দেখেনি কীভাবে আঞ্চলিক স্বাদুজলের ভাণ্ডারে প্রভাব পড়তে পারে। যদিও বিষয়টা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলেই মনে করতে হবে। এমনই গবেষকরা লিখেছেন। বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজে অপরিমিত জলের ব্যবহারে ঠিক কতটা ক্ষতি হতে পারে তার আন্দাজ মোটেই ছিল না এই সব প্রকল্পের রুপায়কদের কাছে। যার ফলে বিশেষ কিছু স্বাদুজলের স্তর অনেকটাই নেমে গেছে ইতিমধ্যেই।
গবেষকরা উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে ‘লিফ এরিয়া ইনডেক্স’ নামের এক অভিনব সূচকের গণনা করেছেন। এই সূচকের অর্থ, একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ঠিক কতখানি গাছপালার আবরণ আছে। ২০০১-২০১৮ সাল অবধি সবুজের পরিবর্তন হিসেব করে বের করেছেন গবেষকরা। এবং এই ম্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আর বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতার পরিমাপও জানা যাবে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, প্রতিবছর ০.২৬ মিলিমিটার হারে স্বাদুজলের স্তর বেড়েছে পৃথিবীব্যাপী আবাদির পরিবর্তনের ফলে। কিন্তু আশঙ্কার অবকাশ আছে বিস্তর। বিশ্বের ৩৪% এলাকায় স্থানীয়ভাবে স্বাদুজলের পরিমাণ কমেছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য, উত্তর আমেরিকার পূর্ব আর পশ্চিম অংশে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে স্থানীয় স্বাদুজলের ভাণ্ডার।