প্রায় ১৮ হাজার বছর আগে অধুনা পাপুয়া নিউগিনি অঞ্চলে ফার্মিং করা হতো হিংস্র পাখির। মূলত ডিম, মাংস খাওয়ার জন্যে। পেনিসেলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য। গবেষকরা নিউ গিনিতে শিলার মধ্যে এই পাখির সেদ্দ করা ডিমের খোলার নমুনা পেয়েছেন। এবং ফুটে বাচ্চা বেরোনোর পর ভাঙা ডিমের খোলারও নমুনা পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে স্থান থেকে নমুনা পেয়েছেন গবেষকরা সেখানে প্রাচীন মানব বসতিরও তথ্য রয়েছে। গবেষণা দলের সদস্য পেনিসেলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃস্টিনা ডগলাস ন্যাশানাল হেলথ মিশনকে জানান, ঐ ফোটা বাচ্ছা বেরয়ে অবশিষ্ট থাকা ভাঙা ডিমের খোলাগুলি আসলে ব্যপক পরিমানে হার্ভেস্টের নমুনা। ঐ ডিমের খোলাগুলি যেমন খুশি তেমন ভাবে ফুটে বাচ্চা বেরোনোর ফলে ভাঙেনি। ডিমের খোলা গুলির নির্দিষ্ট প্যাটার্ণ আছে। রীতিমতো ফার্মিং না করে অত দীর্ঘ সময় নিয়ে ডিম ফোটানো যায় না। গবেষকদের ধারণা মাংস খাওয়ার জন্যেই পাখির বাচ্চা ফার্মিং করা হতো। হাঁস পুরগি প্রতিপালনের হাজার হাজার বছর আগে মানুষের প্রতিপালিত সেই হিংস্র পাখিটি হলো ক্যাসোয়ারি( এমু জাতীয় বড় পাখি)। পাখিটি র্যাটাইট গোত্রের উড়ন ক্ষমতাহীন একধরনের পাখি এমু, অস্ট্রিচ ইত্যাদির মতো। মানুষের জন্য এই পাখি বিপজ্জনক, এরা এদের মারাত্মক আক্রমণের জন্যে পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম পাখি গুলির একটি বলে পরিগনিত। এদের বড় নখ যুক্ত থাবা পা দুটোকে বিচিত্র করে তোলে। মানুষকে আক্রমণ করে এরা নাঁড়িভুঁড়ি বের করে হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। র্যাটাইটের বিবর্তনের ইতিহাস আজানা। মনে করা করা প্লেটটেকটোনিক বিবর্তনের ফলে অখণ্ড মহাদেশ গণ্ডোতাল্যান্ড ভেঙে আধুনিক অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ তৈরির পর স্যাঁতস্যাঁতে বনভূমিতে নির্জনে এদের বসবাস।