সুখবর! ২০২৫ সালে আমাদের নতুন প্রজন্ম পৃথিবীতে এল। ১লা জানুয়ারি থেকে জেনারেশেন বিটা- র সূত্রপাত হল। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জন্মানো শিশুরা বিটা জেনারেশন নামে পরিচিত হবে। ২০৩৫ সালে সারা পৃথিবীর জনসংখ্যার ১৬% হবে জেন বিটা, এদের মধ্যে অনেকেই দ্বাদবিংশ শতাব্দী প্রত্যক্ষ করবে। এই গবেষণার তথ্য উঠে এসেছে ম্যাকক্রিন্ডল সংস্থার তরফ থেকে। এই সংস্থা সামাজিক গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি জেনারেশন আলফা শব্দের জনক। জেন বিটার ওপর প্রযুক্তির একটা ব্যাপক প্রভাব থাকবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাদের আগের প্রজন্ম জেন অ্যালফা-রাও প্রযুক্তির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল, তাই এদের আই-প্যাড কিডস বলা হয়।
ম্যাকক্রিন্ডল লিখেছেন যে জেন বিটা-র জীবন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভিন্ন প্রযুক্তির দ্বারা প্রভাবিত হবে। দুঃখের বিষয় এরা জলবায়ু সঙ্কট, বিশ্ব জনসংখ্যার স্থানান্তরের মতো বড়ো সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। দেখা গেছে, জেন আলফা-র বাচ্চার বাব-মায়েরা প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামের সঙ্গে তাদের বাচ্চাদের সম্পর্ক কীভাবে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচজন ছাত্রের মধ্যে একজন স্কুলের কাজে সাহায্যের জন্য চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করেছে। সর্বদা জেন আলফা-র বাবা-মাদের পরামর্শ দেওয়া হয়, তাদের সন্তানদের যতটা সম্ভব সামাজিক মিডিয়া থেকে দূরে রাখা উচিত। কারণ এতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তবে প্রজন্মগত ট্যাগ ব্যবহারের বৈধতা বহুবার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের সভাপতি মাইকেল ডিমক ২০১৯ সালে সতর্ক করে দেন প্রজন্মের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে পার্থক্যকে অতি সরল করার জন্য একটা লেবেল দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতি প্রজন্মকে সামাজিক পরিবর্তনের লেন্স দিয়ে দেখা জরুরি।
গত ১০০ বছরে জন্মগ্রহণকারীদের দলবদ্ধ করে এক একটা প্রজন্ম ধরা হয়েছে, প্রজন্ম অনুযায়ী তাদের যে নামকরণ করা হয়েছে –
• জেন বিটা: ২০২৫ – ২০৩৯
• জেন আলফা: ২০১০ – ২০২৪
• জেন জেড: ১৯৯৭ – ২০০৯
• মিলেনিয়াল: ১৯৮১ – ১৯৯৬
• জেন এক্স: ১৯৬৫ – ১৯৮০
• বুমারস: ১৯৪৬ – ১৯৬৪
• সাইলেন্ট জেনারেশন: ১৯২৮ – ১৯৪৫