অঙ্কের আমি অঙ্কের তুমি, অঙ্ক দিয়ে যায় চেনা

অঙ্কের আমি অঙ্কের তুমি, অঙ্ক দিয়ে যায় চেনা

শিবাংশু মুখোপাধ্যায়
Posted on ৫ আগষ্ট, ২০২১
অঙ্কের আমি অঙ্কের তুমি, অঙ্ক দিয়ে যায় চেনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তার চেয়েও বেশি কাজ করতে পারে? মানুষের মন ও চেতনা নিয়ে সারাজীবন কাজ করে সফল হয়েছেন সম্পূর্ণ দুটো পৃথক বিষয়ের দুজন প্রথিতযশা মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক আগেই। তাঁদের একজন গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কি যিনি ভাষার মাধ্যমে মানব-মস্তিষ্কের বিচারের কাজ করেছেন আর-একজন বিখ্যাত গণিত ও পদার্থবিদ রজার পেনরোজ। তাঁর কাজও ফিজিক্স অব মাইন্ড অ্যান্ড কনসাসনেস নিয়ে।

চমস্কি বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার মডেলিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন বায়োলজিকাল সিস্টেম আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। যেমন, মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তাও তো এক ধরনের বায়োলজিকাল সিস্টেম যার মঞ্চ অ্যালগরিদম বা অঙ্ক দিয়ে গড়া। কিন্তু মানুষের চেতনাকে বুঝতে পারে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কেন – তা সহজ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পেনরোজ। তিনি বলেছেন, কম্পিউটার কোনো কিছু অভিজ্ঞতা থেকে পায় না। অ্যালগোরিদমের মধ্যে দিয়ে কম্পিউটারকে কেবল একটা প্যাটার্ন চিনিয়ে দেওয়া যায়। ওই চিনিয়ে দেওয়াকেই মেশিন লার্নিং বলে। পেনরোজ দেখাচ্ছেন ৩ x ২ = ৬ যেমন হয়, তেমনই ২ x ৩ = ৬ হয়। এই যে ৩ আর ২-এর ক্রম উলটে দিলেও গুণফল একই থাকে। সেটা মানুষের বাচ্চা এমনই শিখে নিতে পারে। এটাই তার সমস্যার সমাধান বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তির সবচেয়ে বড় জায়গা। একটা নতুন প্যাটার্ন পেলে সে তার অন্যান্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সেই সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজে নিতে পারে। কম্পিউটারের যেহেতু কোনো অভিজ্ঞতা লাভ করার কোনো উপায় নেই, তাই তাকে দুটো ক্রমকেই চিনিয়ে দিতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 1 =