অজগর গিলে নিতে পারে প্রায় সবকিছুই, কিন্তু কীভাবে?

অজগর গিলে নিতে পারে প্রায় সবকিছুই, কিন্তু কীভাবে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ অক্টোবর, ২০২২

বর্মাদেশের অজগর দৈত্যাকার, লম্বায় ১৬ ফুট অবধি বাড়তে পারে। একটা গোটা হরিণ বা বড়ো কুমিরকেও আত্মসাৎ করতে ওস্তাদ এরা। কিন্তু শরীরের কোন বিশেষ গঠনের জন্যে এটা সম্ভব একটা অজগরের পক্ষে?
বার্মিজ অজগরকে নিয়ে নতুন এক গবেষণা হয়েছে সম্প্রতি। একই আকারের অন্য সাপের তুলনায় ছয়গুন বড়ো শিকারকে অনায়াসে অজগর গিলে নিতে পারে। নিজেদের চোয়ালকে এতটা প্রসারিত করতে পারে পাইথনের এই বিশেষ প্রজাতি। সৌজন্যে – বিবর্তন আর অভিযোজন। এই রকম রাজকীয় খানাপিনা সত্ত্বেও কিন্তু দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়াতে অজগরের সংখ্যা কমছে। কারণ তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল দখল করে নিয়ে জনবসতি তৈরি হয়ে চলেছে।
অজগরের এই এশীয় প্রজাতিকে ফ্লোরিডায় স্থনান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যা পাচ্ছে তাই খেয়ে বাস্তুতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে তারা। কনজারভেন্সি ফর সাউথওয়েস্ট ফ্লোরিডার পরিবেশ বিজ্ঞানী ইয়ান বার্তোজেক বলছেন, একটা প্রজাতির জন্যে প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে এভারগ্লেড বাস্তুতন্ত্র এবং সেটা ঐ বার্মিজ পাইথন।
শরীরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমনিতেই অজগরের বড়ো মুখ। কিন্তু বিবর্তনের বদান্যতায় তাদের নীচের চোয়ালের চামড়া অতি-প্রসারণশীল। ফলে অতিকায় শিকার সহজেই তারা গিলতে পারে। সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী ব্রুশ জায়েন বলছেন, বর্মার অজগরের নীচের চোয়ালের ডান আর বামদিকের মধ্যে অনেক তফাৎ। বড়ো শিকার ধরায় মুখ্য ভূমিকা নেয় চোয়ালের সাথে ঝুলে থাকা আশ্চর্য প্রসারণে সক্ষম ঐ চামড়া।
ইন্টেগ্রেটিভ অরগ্যানিস্মাল বায়োলজি নামক পত্রিকায় বেরিয়েছে এই অভিনব প্রতিবেদন।