কোভিডের বিপদে আমরা সবাই নিজেদের মতো করে মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছি। ব্যতিক্রম নয় চিড়িয়াখানার প্রাণীরাও। একদিন হঠাৎ করে দর্শকদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেল – তাতে প্রভাব পড়েছে জন্তু জানোয়ারের আচরণে। গবেষকরা জানাচ্ছেন এমনই আশ্চর্য তথ্য।
বুনুবু, শিম্পাঞ্জি, গোরিলা আর অলিভ বেবুনদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন একদল বিজ্ঞানী। দেখা গেছে, কতক্ষণ তারা ঘুমিয়ে কাটায় বা দিনের কোন সময়টায় খায় তারা, পাল্টে গেছে সেসব অভ্যেস। ব্রিটেনের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সামান্থা ওয়ার্ড বলছেন, বানর প্রজাতির প্রাণীদের বোঝার ক্ষমতা বাকিদের তুলনায় অনেকটাই উন্নত। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শকদের সাথে তাদের সম্পর্কও সহজ নয় খুব একটা।
নজরদারি চালানো হয়েছিল মূলত দুটো জায়গায়। ইংল্যান্ডের টুইক্রস চিড়িয়াখানা আর নোস্লে সাফারি পার্কে। দেখা যাচ্ছে, দর্শকরা ফিরে আসতেই বুনুবু আর গোরিলারা একা একা সময় কম কাটাচ্ছে। আবার, খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়েছে শিম্পাঞ্জিরা। খাঁচার জালের আশেপাশে ঘোরাঘুরিও বেড়েছে তাদের। আরও চমকপ্রদ তথ্য অলিভ বেবুনদের নিয়ে। তারা নাকি যৌনমিলনের মতো আগ্রাসী কাজে কম সময় ব্যয় করছে দর্শকদের হাজিরা বেড়ে যাওয়ার পর। বেবুনরা বেশি ধাওয়া করছে গাড়ির দিকে। তবে গবেষণা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে না জন্তু জানোয়ারের এই পাল্টে যাওয়া আচরণ আদৌ ভালো লক্ষণ কিনা।
অজানা পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অবশ্যই ভেবে দেখার মতো, এমনই জানালেন হার্পার অ্যাডামস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এলেন উইলিয়ামস।
নতুন এই গবেষণাপত্র বেরিয়েছে অ্যানিম্যালস নামের পত্রিকাতে।