মেক্সিকো শহরের ‘চিমিলকো ইকো পার্ক’-কে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভূক্ত করেছে অনেকদিন আগে। সেই পার্কের চারপাশ দিয়ে গিয়েছে অ্যাজটেক যুগের প্রাচীন অনেক খাল। সারা বছর এই চিমিলকো ইকো পার্ক ভর্তি থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। কিন্তু খালগুলোর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। আবর্জনায় বুজে গিয়েছিল প্রায়। মেক্সিকো সরকার অভিনব উপায়ে সেই খালগুলো পরিষ্কার করল। সৌরশক্তির সহায়তায় ন্যানো-বাবল সিস্টেমে আবর্জনা তোলা হল খালগুলো থেকে। এই কাজে যুক্ত থাকা বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, জলে ন্যানো-বাবল দেওয়া মানে জলকে আরও অক্সিজেন-সমৃদ্ধ করা হল। তাতে আরও বেশি পরিমাণে দূষণমুক্ত হল জলটা। আরও গুরুত্বপূর্ণ, গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ আরও কমে গেল এই কর্মকাণ্ডের ফলে। তবে চিমিলকো ইকো পার্ক নামটা তো অনেক পরে হয়েছে। আগে স্থানীয় মানুষ একে ডাকতেন চিনামপাস নামে। চতুর্দশ শতকে এই চিনামপাসের পাশ দিয়ে তৈরি হওয়া মাইলের পর মাইল কৃষিজমিতে চিনামপাসের খালের জলের সাহায্যেই চাষবাষ ছিল স্থানীয় মানুষদের প্রধান জীবিকা।
আর প্রয়োজনীয় সৌরশক্তি যোগানো হবে কীভাবে? খালগুলোতে পর্যটকদের যে বোটগুলো নিয়ে বেড়াতে বেরোন সেই বোটগুলোর মাথাতেই বসানো হয়েছে সোলার-প্যানেল!
প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার জল নামানো জন্য শহরের পুরসভার প্রশাসকরা যখন বিবৃতি দিচ্ছেন যে, কলকাতার চারপাশে থাকা ১২টি খালের অধিকাংশই পলি মাটিতে বুঁজে গিয়েছে, মেক্সিকো সরকারের এই অভিনব উপায় কি কখনও তাদের কাছে সমাধান হয়ে আসতে পারে? সময়ই দেবে সেই উত্তর।