গতকাল মানে, ২২ নভেম্বর থেকে অষ্ট্রিয়া আবার ফিরে গেল লকডাউনে। দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে দেখে সরকারের এই সিদ্ধান্ত। গতবছর মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে অষ্ট্রিয়ায় এটা চতুর্থ লকডাউন। এই মুহুর্তে সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে সংক্রমণ হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫০০ জন নাগরিকের। প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকের ১১০২ জন এই ভাইরাসে সংক্রামিত। তুলনায়, ইংল্যান্ডের হিসেবটা তাও একটু স্বস্তিদায়ক। প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে আক্রান্ত ৪১৮ জন। চতুর্থ এই লকডাউনে সরকারের ঘোষণা, মানুষ ঘর থেকে বেরতে পারবে শুধু কর্মস্থলে, সকালে ও বিকেলে এক্সারসাইজ করার জন্য আর মুদীর দোকানে। এছাড়া সমস্তরকমের অপ্রয়োজনীয় দোকান, রেস্তোঁরা, পানশালা, প্রেক্ষাগৃহ-সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আধিকারিকরা যদিও জানিয়েছেন ১০ দিন পর সংক্রমণের হার দেখে ধীরে ধীরে সব খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু এই লকডাউন আপাতত জারি রাখা হবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সে-ও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
অন্যদিকে, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কোভিড সামলাতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আসা প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বিক্ষোভ সামলাতে রবিবার পুলিশকে টিয়ারগ্যাস, জলকামান পর্যন্ত ব্যবহার করতে হয়েছে! মানুষের বিক্ষোভ ছিল পাবলিক স্পেসে মাস্ক পরার বিরুদ্ধে আর ঘর থেকে কাজ করার বিরুদ্ধে। জনসাধারণের এই বিক্ষোভ অষ্ট্রিয়া, তার সঙ্গে ইতালি, সুইৎজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসেও হয়েছে। তবে ব্রাসেলসের মত গুরুতরভাবে নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দিন পিছু ১ লক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছে! সরকারের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে আবার না ওখানেও লকডাউন চালু করতে হয়!