অ্যান্টার্কটিকার বরফের নীচে টেমসের চেয়ে বড়ো নদী!

অ্যান্টার্কটিকার বরফের নীচে টেমসের চেয়ে বড়ো নদী!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ মার্চ, ২০২৩

যেদিকেই চোখ যাবে শুধু বরফ আর বরফ। অ্যান্টার্কটিকার এই বিস্তীর্ণ বরফের চাদরের নিচেই অপ্রত্যাশিত এক নদীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বরফের গলন আর প্রবাহে ভালোই প্রভাব ফেলে ঐ নদী, এমনই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
দৈর্ঘ্যে ৪৬০ কিলোমিটার এই নদী। অ্যান্টার্কটিকায় বরফের স্তরের নীচে থেকেই জল সংগ্রহ করে। আয়তনে জার্মানি আর ফ্রান্সকে জুড়লে যতটা হয় তার চেয়ে খানিকটা বড়ই হবে। বরফের স্তরের একেবারে গোড়ায় যে জলের প্রবাহ এতটা সক্রিয়ভাবে উপস্থিত, তা এতদিন কল্পনা করেননি কোনও গবেষকই। হয়তো সেই কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন আর বিশ্বউষ্ণায়নে এতটা প্রভাব পড়ছে ঐ অঞ্চলে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ক্যানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া তেরেংগানু আর নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই আবিষ্কারে সামিল ছিলেন। গবেষণাপত্রটা প্রকাশ পেয়েছে নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অন্তর্ভুক্ত গ্রান্থাম ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মার্টিন সিজার্ট বলছেন, কয়েক দশক আগেই অ্যান্টার্কটিকার বরফের তলায় কয়েকটা হ্রদের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু তখন মনে করা হত, সেগুলো একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সুবৃহৎ নদীর মাধ্যমে এই গোপন জলাধারগুলো পরস্পর যুক্ত। উপরের ঐ মোটা বরফের স্তর না থাকলে ব্যাপারটা এতও ঘোরালো মনে হত না।
বাতাসে অনেকগুলো রেডারের সাহায্যে এই আবিষ্কার সম্ভবপর হয়েছে। এতে করে বরফের স্তরের নীচে ঠিক কী আছে তা ভালোভাবে বোঝা গেল। ওয়েডেল সাগরের কাছে অ্যান্টার্কটিকার যে অঞ্চলটা এতদিন বিজ্ঞানীরা এড়িয়ে গিয়েছেন সেই অংশেই গবেষণা চালানো হয়।